Kolkata Metro Update: মেট্রোতে এসপ্ল্যানেড থেকে নিউ গড়িয়া হয়ে এয়ারপোর্ট! কবে থেকে শুরু যাত্রী পরিষেবা?

কলকাতা মেট্রো নিয়ে দারুণ সুখবর। আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা! a Metro) পরিষেবা শুরু করার ছাড়পত্র প্রদান করা হল। কলকাতাবাসীর বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। এবার মেট্রো রিং প্রকল্পের (Metro Ring Project) কাজ প্রায় শেষের পথে!

কলকাতা মেট্রো যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছে দারুণ সুখবর।

এবার মেট্রো রিং প্রকল্পের (Metro Ring Project) কাজ প্রায় শেষের পথে!

কী এই মেট্রো রিং প্রকল্প (Metro Ring Project)? এই প্রজেক্টে কোন কোন স্টেশন তালিকাভুক্ত থাকছে?

কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর কলকাতার চারদিকে যে মেট্রো রিং তৈরি করা হচ্ছে, তা মূলত অরেঞ্জ, গ্রীন এবং ব্লু লাইনকে কেন্দ্র করে।

সূত্রের খবর, এর মধ্যে চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ের কাছে শুধুমাত্র 366 মিটার পথে এখনও নির্মাণ কার্য চলছে। আর এটি সম্পূর্ণ হলেই কলকাতার প্রথম মেট্রো রিং একেবারে বাস্তবে রূপ নেবে।

বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই রিং রুটে তিনটি বড় বড় ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট থাকবে। আর তা হল – এসপ্ল্যানেড, নিউ গড়িয়া এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভ।

যদি কেউ এসপ্ল্যানেড থেকে ব্লু লাইনের দিকে যাত্রা করে, তাহলে নিউ গড়িয়াতে নেমে সে অরেঞ্জ লাইনে চেপে যেতে পারবে সোজা সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত।

এমনকি গ্রীন লাইনে ট্রান্সফার করে আবারও এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে ফিরে আসে যাবে বলে খবর।

আর এটি সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হবে ঠিক তখনই, যখন শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের বাকি ২.৬ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়ে ওই রুট চালু হবে।

মেট্রো রেলের সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চিংড়িঘাটা ক্রসিং-এ যে ৩৬৬ মিটার অংশটির কাজ এখনো বাকি রয়েছে, তার মধ্যে মূলত দুটি স্প্যান রয়েছে। এমনকি দুটিই রাস্তার উপর দিয়ে।

এমনকি এও শোনা যাচ্ছে, বাকি ৩০৪ মিটার অংশটি পূর্ব নিকাশি খাল এবং সুকান্ত নগরের উপর দিয়ে সরাসরি চলে যাবে।

এমনকি সেখানে কোনোরকম ট্রাফিক ব্লকের দরকার পড়বে না। আর এই অংশটি খুব দ্রুতই সম্পন্ন হবে।

ইয়েলো লাইন নিয়ে যদি কথা বলি, অর্থাৎ নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত কাজ শেষ করার প্রস্তুতি চলছে এবছরের মধ্যেই।

আর এই অংশ একবার চালু হয়ে গেলে যাত্রীরা নিউ গড়িয়া থেকে সরাসরি ব্লু লাইনে চেপে বিমানবন্দর হয়ে অরেঞ্জ লাইনে ফিরে আসতে পারবে নিউ গড়িয়াতে, যার ফলে তৈরি হবে এক বিরাট বড় রিং রুট।

এদিকে জোকা থেকে টালিগঞ্জ হয়ে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত যে পার্পল লাইন তৈরি করা হয়েছে, সেই রুটের কিডারপুর অঞ্চলে জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা মামলাধীন রয়েছে। তবে হ্যাঁ, বাকি তিনটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনের কাজ জোরকদমে চলছে।