
Kolkata News: আগামী সোমবার ২১ জুলাইয়ের সভা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। যদিও এই প্রস্তুতি ধর্মতলার রাজনৈতিক সভা নিয়ে নয়। এই প্রস্তুতি হল একুশে জুলাইয়ের দিন যাতে শহর থেকে জেলা সমস্ত রাস্তাঘাট যানজট মুক্ত রাখা যায় এবং সচল থাকে। সেই জন্যই শনিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা জোকায় ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ডের অফিসে যান। সেখানকার রাস্তার যানজট ও পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠক করেন ট্রাফিক কন্ট্রোলের যারা রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে।
জানা গিয়েছে, জোকায় ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ডের অফিসের কাছে থেকেই যুক্ত হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার। সে ক্ষেত্রে শহর ও জেলার মধ্যে যাতে কোনও ভাবেই রাস্তা অচল হয়ে না পড়ে সেই কারণেই তিনি কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা ও সংযোগস্থল খতিয়ে দেখেন এদিন। যাতে অফিসযাত্রী ও স্কুল পড়ুয়া ও কলেজ পড়ুয়াদের কোনও অসুবিধা না হয়। সমস্ত বিষয়ে দিকেই নজর রাখবে কলকাতা পুলিশ বলেও জানান তিনি।
শনিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, ''মহামান্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলো কি কি পয়েন্ট আছে, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে দেখা হচ্ছে। সেগুলো কিভাবে পালন করা হবে দেখা হচ্ছে। মহামান্য আদালতের অর্ডার যাতে কমপ্লাই হয় সেটা দেখা হচ্ছে। আমরা আশা রাখছি সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই সম্পন্ন হবে এবং মহামান্য আদালতের যে নির্দেশ রয়েছে সেটাও কমপ্লাই হবে।''
তিনি আরও বলেন, ''আমরা ম্যানপাওয়ার থেকে শুরু করে নজরদারি রাখবো। আরো অনেক পদক্ষেপ সেগুলো এখানে আমরা বলছি না, সেগুলো আমরা স্টেপস নেব। এ সত্ত্বেও যদি কারো কোনো অসুবিধা হয় আমরা হেল্পলাইন নম্বর দিচ্ছি, তাতেও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।''
‘’তিনটে নাম্বার আছে আমরা বলতে পারি একটা টোল ফ্রি নাম্বার আছে 1073 এছাড়াও দুটো মোবাইল নাম্বার ৯৮৩০৮ ১১ ১১১ এবং ৯৮৩০০ ১০০০০ এটা আমি ডিসি ট্রাফিককে বলেছি ওয়াইড পাবলিক সার্কুলেশন এর জন্য। যাতে সবাই এই নাম্বারটা জানতে পারে। কেউ কোনও অসুবিধা হলে। এই নাম্বারে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আশা করছি ঠিক থাকবে।''
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ২১ জুলাই সোমবার তৃণমূলের সমাবেশে পথচলতি সাধারণ মানুষের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়। সেদিকে কলকাতা পুলিশ প্রশাসনকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ ছিল যে, ওইদিন শহরে কোনও যানজট হবে না বলে তাহলে আপনি মুচলেখা দিন পুলিশকে বলুন মুচলেখা দিতে। পুজোর সময় পুলিশ শহরে খুব ভালোভাবেই যান নিয়ন্ত্রণ করে। এক্ষেত্রেও কি পুলিশ সেটা করতে পারবে? আমার কলকাতা পুলিশের উপর ভরসা আছে। তাই আমি সব সময় নিজের অর্ডারে কলকাতা পুলিশকেই দায়িত্ব দিই।' শুধু তাই নয়, সব পক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ, একুশে জুলাইয়ের
সমাবেশের দিন যানজট নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক শর্ত আরোপ করেন। সেই সঙ্গে বিচারপতি ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, এই মামলার নিষ্পত্তি এখনই হবে না। আগামীদিনে এই নিয়ে সব পক্ষকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে বলেও জানিয়ে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।