
Kolkata: নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার সময় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের হত্যার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এসি শুভজিৎ সেন (তৎকালীন ওসি নারকেলডাঙ্গা), লেডি ইন্সপেক্টর রত্না সরকার (তৎকালীন এলএসআই নারকেলডাঙ্গা পিএস) এবং হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথের জামিন খারিজ। সিবিআই আদালত তাদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সিবিআই তাদের সাম্প্রতিক চার্জশিটে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ এবং ৫০৬ ধারায় তাদের অভিযুক্ত করেছে।
জানা গিয়েছে, ১৮ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১০ জন জামিন চেয়ে আবেদন করেছিল আদালতে। তাদের মধ্যে ৬ জনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিলেও তিন পুলিশ কর্মীকে আরও এক অভিযোগে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত । পাশাপাশি বিধায়ক পরেশ পাল ও দুই কাউন্সিলরকে আগামী ১২ অগাস্টের মধ্যে সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে শুক্রবার বিচারক মন্তব্য করেন, ‘‘রক্ষকই ভক্ষক হয়ে গেলে সমাজের কী হবে।’’ ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার (আইও)-কে না জানিয়ে ওই পুলিশকর্তা নিহত অভিজিতের মায়ের সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ করেছিলেন, সে প্রশ্নও তোলেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময়েই ভোট পরবর্তী হিংসায় কাঁকুড়গাছির অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, ফল প্রকাশের পরেই গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় অভিজিৎকে। প্রথমে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল।
আরও জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশের হাত থেকে এই মামলার তদন্ত ভার যায় CBI-এর হাতে। প্রথমে কলকাতা পুলিশের তরফে চার্জশিটে ১৫ জন অভিযুক্তের নাম দেওয়া ছিল। পরে সিবিআই আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করলে তাতে আরও ২০ জনের নাম নথিভুক্ত করে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দেওয়া চার্জশিটে নাম ছিল- বিধায়ক পরেশ পাল। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না ঘোষের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।