প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদে বসানো হল প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা সিপিএমের দাপুটে নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে।মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে লক্ষ্মণের নিয়োগের কথা জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
রাজনৈতিক ভোলবদল সাক্ষী বহুবার হয়েছে বাংলা। কিন্তু এবারের এই ভোলবদল যেন নতুন করে অবাক করছে রাজ্যবাসীকে। প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদে বসানো হল প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা সিপিএমের দাপুটে নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে।মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে লক্ষ্মণের নিয়োগের কথা জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। তাতে জানানো হয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নির্দেশে অবিলম্বে লক্ষ্মণকে এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হল।
বাম আমলে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের একচ্ছত্র রাজত্ব ছিল তাঁর। শ্রমিক আন্দোলনের হাত ধরেই ওই শিল্পাঞ্চলে উত্থান ঘটে লক্ষ্মণের। রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জমানায় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের এক দাপুটে নেতা ছিল লক্ষণ শেঠ। তার নামে একাধিক মামলাও রুজু হয়েছে থানায়। নন্দীগ্রামে কৃষকদের উপর হামলা চালানোর মতো ঘৃণ্য ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকার ফলে তার নামে জারি করা হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা । কিন্তু পুলিশের চোখে একপ্রকার ফাঁকি দিয়েই এতদিন বোম্বেতে লুকিয়ে ছিল সে। অবশেষে খোঁজ মিললো তার। এতদিন পর সরাসরি প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতির হয়ে ফের আত্মপ্রকাশ লক্ষণ শেঠের।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগদান করেন লক্ষ্মণ। তাঁর যোগদান নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। যদিও মান্নানের সেই বিরোধকে উপেক্ষা করেই লক্ষ্মণকে দলে নেন তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। চলতি বছরে একাধিক বার তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনাও জোরালো হয়েছিল। খোদ লক্ষ্মণও প্রকাশ্যে তৃণমূলে যোগদানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যদিও বাস্তবে তা হয়নি।