গোটা দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। আর আগামী ১ জুন, পশ্চিমবঙ্গে শেষ দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে বারাসাতে ভোটপ্রচারে গিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোটা দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। আর আগামী ১ জুন, পশ্চিমবঙ্গে শেষ দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে বারাসাতে ভোটপ্রচারে গিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারের সমর্থনে একটি রোড শো-তে অংশ নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব এবং প্রাক্তন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কর্মসূচিতে এসেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি। প্রসঙ্গত, রেশন-দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই হাবড়ার বিধায়ক এবং প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। জামিন পাননি, এখনও জেলে তিনি।
শুধু তাই নয়, বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী এবং মধ্যমগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক রথীন ঘোষের বাড়িতেও তল্লাশি চালান ইডির গোয়েন্দারা। সেইসঙ্গে, রাজ্য সরকারের দমকলমন্ত্রী এবং বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুর বাড়িতেও যান ইডি আধিকারিকরা। বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারের সমর্থনে প্রচারে এসে সেই প্রসঙ্গই টেনে আনলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “এই বারাসাতের ওপর অনেকদিন ধরে লোভ বিজেপির। ওরা বারাসাত দখল করতে চাইছে। গত ৭ মাস ধরে ওরা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আটকে রেখেছে। রথীন ঘোষ এবং সুজিত বসুর বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে, কিন্তু কিছুই পায়নি। এখানকার বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিষয়ে মানুষ ভালোমতোই জানেন। পশ্চিমবঙ্গ নয়, অসমের পুলিশ ওনাকে গ্রেফতার করেছিল। এমন একজন লোক পদ্মফুল চিহ্নে ভোট চাইতে এসেছেন।”
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারাসাত স্টেডিয়াম থেকে চাঁপাডালি মোড় পর্যন্ত রোড শো-তে শামিল হন। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের মগরাহাট পূর্বে জনসভা সেরে হেলিকপ্টারে করে বারাসাত স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছন তিনি। অন্যদিকে, এই রোড শো এবং অভিষেকের আসাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা, কর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে তুমুল উৎসাহ দেখা যায়।
যার দরুণ বারাসাত সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ শুরু করে প্রশাসন। সবমিলিয়ে শেষলগ্নের ভোটের আবহে চড়ছে রাজনীতির পারদ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।