
Kasba Law College Student Allegedly Gangraped: ফেসবুক (Facebook) প্রোফাইল বলছে, দক্ষিণ কলকাতা জেলা টিএমসিপি-র (TMCP) সাংগঠনিক সম্পাদক। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের (South Calcutta Law College) টিএমসিপি ইউনিটের একসময়ের সভাপতি। এখন আলিপুর আদালতে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত। ইনিই কসবায় আইন কলেজের (Kasba Law College) এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Gangrape) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। ছবি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya), দক্ষিণ কলকাতার প্রভাবশালী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাশিস কুমার (Debasish Kumar), তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর (Trinankur Bhattacharya) সঙ্গে। ফলে শাসক দল সরাসরি কসবার ঘটনায় মূল অভিযুক্তর সঙ্গে দলের যোগ থাকার কথা অস্বীকার করতে পারছে না। তবে বিষয়টি তুচ্ছ করে দেখানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) দাবি করেছেন, ‘২০২২ সালের পর থেকে ছেলেটি দলের কোনও পদে নেই। কোনও কমিটিতেও নেই। কেউ ব্যক্তিগতভাবে কার সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কার গোষ্ঠীতে নাম লেখাচ্ছে, তা কারও জানার কথা নয়।’
কসবার ঘটনায় মূল অভিযুক্তর সঙ্গে শাসক দলের যোগ থাকা নিয়ে যখন বিরোধী দলগুলি আক্রমণ শানাচ্ছে, তখন পাল্টা আক্রমণ করেছেন কুণাল। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহদের (Amit Shah) সঙ্গে ব্রিজভূষণ এবং সেই প্রজ্বল রেভান্নাদের ছবি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে ট্যুইট করছেন, সেই ট্যুইটেও ধর্ষকদের সঙ্গে ছবি রয়েছে। বংশগোপাল, সুশান্ত ঘোষেদের সঙ্গেও তো সিপিএম নেতাদের ছবি রয়েছে। তাতে কী এল-গেল! পাবলিক লাইফে এগুলো হয়। এতে যদি আমাদের কৈফিয়ত দিতে হয় তো, ওঁদেরও দিতে হবে।’
কসবার এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission for Women)।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।