এদিনের বৈঠকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এসবের জন্য তোমরা দায়ী’। তবে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার নিষ্পত্তি চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে একেবারে রণং দেহি মূর্তিতে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দলের নেতা মন্ত্রীদের একহাত নিলেন মমতা। কিন্তু কেন এভাবে ক্ষেপে গেলেন তিনি! গোপন সূত্রের খবর দানিং শহরের একাধিক জায়গায় সরকারি জমি, রাস্তাঘাট জবরদখল করে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের। আর এই খবর কানে আসতেই এদিন মেজাজ হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এদিনের বৈঠকে একেবারে স্পষ্ট কথায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এক-শ্রেণীর নেতা আর পুরসভার কিছু কর্মীসহ বেশ কয়েকজন অফিসার টাকা নিয়ে রাজ্যের মধ্যেই বাইরের লোক বসাচ্ছেন।
এর ফলে রাজ্যের রাজস্বের ব্যাপক ক্ষতির কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,রাজ্যের রাজস্ব থেকে পাঁচটা রাজ্যের লোক এর খরচ বইতে হচ্ছে। তাই এদিনের বৈঠকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এসবের জন্য তোমরা দায়ী’। তবে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার নিষ্পত্তি চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর এদিন বৈঠক চলাকালীন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও নিশানা করেছেন।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘নতুন করে যাদের বসানো হচ্ছে তারা সব বাইরের লোক। প্রথমে একটা চাল লাগাচ্ছে। তার পর চারটে হকার বসিয়ে দিচ্ছে। একটা ভেন্ডারের ৬টা দোকান। দখল করে নিচ্ছে বাংলাটাকে।’
বাংলা জুড়ে জবরদখল চালাচ্ছে ভিন রাজ্যের অবাঙালি মানুষরা। শুধু তাই নয় তারা বৈধ নিয়মকানুন মেনেও থাকছেন না বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে এদিনের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি সুজিত বসু সহ আরও অনেকের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এই কথা প্রসঙ্গে এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের থেকেও কৈফিয়ত চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিছু আমলারাও এই কাজে জড়িত রয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ। সূত্রের খবর এখানে বাইরের লোক বলতে মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন ভিন্ন রাজ্যের লোকদের। আর এর ফলে রাজ্যের আইডেনটিটি নষ্ট হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ বাংলার রাস্তাঘাট জবরদখল করে যারা বসে পড়ছেন তারা কেউই বাংলার মানুষ নন। ফলে বেশ রেগে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।