প্রোমটিংয়ে অংশীদারিত্ব নিয়ে বচসা, পার্টনারের ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম যুবক

Kolkata Crime News: প্রোমটিংয়ের ব্যবসায় ভাগের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা। বন্ধুর হাতেই ছুরিকাহত অপর পার্টনার। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Kolkata Crime News: প্রোমটিং সংক্রান্ত ঝামেলার জেরে বন্ধুর হাতে ছুরিকাহত বন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকড়ার করাতকল এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশ দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আহতকে ভর্তি করা হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাঁকড়া করাতকল এলাকায় গত চার বছর ধরে প্রোমটিংয়ের ব্যবসা করেন শেখ বশির এবং তার বন্ধু ওয়াহাব মোল্লা। রবিবার রাতে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির মধ্যে মদের আসর বসায় ওয়াহাব মোল্লা এবং তার বন্ধুরা। সেখানেই শেখ বশিরকে ডাকে ওয়াহাব। অভিযোগ পুরনো শত্রুতার জেরে ওয়াহাব বশিরকে গালিগালাজ করতে থাকে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

এতে বশির তাকে চড় মারলে পকেট থেকে ছুরি বার করে ওয়াহাব তার পেটে মেরে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বাঁকড়া ফাঁড়ির পুলিশ। ওয়াহাব মোল্লা এবং আরও একজন মিস্ত্রিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। 

আহত বশিরকে প্রথমে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান প্রোমটিং নিয়ে পার্টনারদের মধ্যে টাকা পয়সার ভাগ বাটোয়ারা সংক্রান্ত গন্ডগোলের জেরে এই ঘটনা।

অন্যদিকে, সোমবার খিদিরপুর ওয়েস্ট পোর্ট থানা এলাকার ডিসি অফিসের থেকে ৫০ মিটার দূরে রক্তাক্ত গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো। এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় ডিসি অফিসের থেকে মাত্র ৫০ মিটার। দূরে শরীরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিল। রক্ত ছিল ঘটনাস্থলে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহের পাশ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। তবে মৃতের পরিচয় জানা যায়নি এখনও।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটির তাহেরপুর থানার কালীনারায়নপুর পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। পরিবারে অভিযোগ, তাদের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার সময় বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাওয়ার সময় তাকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। সেই সময় এলাকায় ছিল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। 

বাড়ির একটু দূর থেকেই তাকে মুখ চাপা দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করে। পরবর্তীতে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপর এলাকার মানুষের সন্দেহ হওয়ায় তাহেরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে অভিযুক্ত যুবক প্রণজিৎ মন্ডল ওরফে শুভকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর ওই নাবালিকা ছাত্রীর খোঁজ শুরু করে পরিবার ও এলাকার মানুষ।

রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বাগানের মধ্যে একটি পরিতক্ত গরুর গোশালা থেকে উদ্ধার হয় ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত নাবালিকা দশম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃতদেহ। এরপর পুলিশ এসে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরিবারের ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ যখন এই প্রণজিৎকে জিজ্ঞাসা বাদ করা হচ্ছিল তখন তার দুই হাত রক্তাক্ত ছিল। তাই এলাকার মানুষ তার উপরেই সন্দেহ করছিল। পরে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে।