বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সোমবার বেলা ১২টা থেকে বর্ষাকালীন অধিবেশন বসবে। সকাল ১১টায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হবে।
বিধানসভায় বাদল অধিবেশন শুরু হবে আগামী ২৪ জুলাই অর্থাৎ সোমবার। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিধানসভায় অধিবেশন ডাকতে নির্দেশ দিয়েছে। বর্তমানে কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমান চান্ডির মৃত্যুর কারণে তিনি রাজ্যে উপস্থিত নেই।
বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সোমবার বেলা ১২টা থেকে বর্ষাকালীন অধিবেশন বসবে। সকাল ১১টায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হবে। বাদল অধিবেশনে কী কী বিল পেশ হবে তা নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা হবে। তিনি আরও বলেন, আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার অফিস খোলা থাকবে। আগামিকাল থেকেই বিধায়করা প্রশ্ন দিতে পারেন। কতদিন বাদল অধিবেশন চলবে তা অধিবেশনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী পক্ষ সকলকেই উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলকেও আমন্ত্রণ জানান হবে।
মণিপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় আলোচনা হবে কিনা তা নিয়েও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিজনেড অ্যাডভাইজারি কমিটি। তবে বিধানসভায় সরকার ও বিরোধী পক্ষ আলোচনায় অংশ নেবে - এমনটাই তিনি আশা করেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন এটা একটা রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা। স্পিকার হিসেবে সকলেই তিনি বলার সুযোগ দিতে চান। তিনি আরও বলেন বিধানসভায় বিরোধীদের বলার সুযোগ তিনি দেন।
বিধানসভায় বিরোধী দল অর্থাৎ বিজেপি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে বলেও অভিযোগ করেছেন স্পিকার। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী বলতে উঠলেও বিরোধী দলের বিধায়করা বেরিয়ে যায়। এটা না হওয়াই শ্রেয় বলেও মনে করেন তিনি।
সূত্রের খবর বুধবার পরিষদীয় দফতর থেকে বাদল অধিবেশন শুরু করার সম্মতি চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে একটি ফাইল পাঠায় রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যপাল ফাইলে সই না করেই সেটি ফেরত পাঠিয়ে দেন। পাল্টা মন্ত্রীকে তরল করেন। মুখ্যসচিবও চাইলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে রাজভবন জানিয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। শেষপর্যন্ত ২১ জুলাইয়ের অধিবেশনের পরই শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় রাজ্যপালকে ফোন করেন। বিধানসভায় বাদল অধিবেশন শুরু করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানান। তারপরই রাজ্যপাল অনুমতি দেন। কিন্তু শনিবার থাকায় অধিবেশন সোমবার থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও শনিবার থেকেই অধিবেশনের কাজ কর্ম শুরু হয়েছে। এদিন স্পিকারের সঙ্গে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ বৈঠক করেন।