পুজোতে কলকাতার নামকরা এই ৭টি টপ বিরিয়ানি ডেস্টিনেশনে ঢুঁ না মারলে বাকি থেকে যাবে অনেক কিছু! রইল লিস্ট
এবার পুজোয় বাড়িতে রান্নাবান্নার পাঠ চুকিয়ে দিন। পুজোয় বিরিয়ানির খেয়েই নাই পেট ভরান। বিরিয়ানি ভালোবাসে না এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। পুজোতে কলকাতার নামকরা এই ৭টি টপ বিরিয়ানি ডেস্টিনেশনে ঢুঁ না মারলে বাকি থেকে যাবে অনেক কিছু! রইল লিস্ট।
পুজো মানেই শুধু প্যান্ডেল হপিং আর ঘোরাফেরা তা করলে হয়। সেইসাথে পেটপুজোও করতে হবে। এটা নাহলে গোটা পুজোই রফাদফা।
রাস্তায় বেরোলে নিত্যনতুন খাবার দেখলে মন নেচে ওঠে। তাই এবারের পুজোয় লাঞ্চ হোক কিংবা ডিনার যদি বাইরে করতে চান তাহলে রইল ৭টি সেরা বিরিয়ানি হাঁড়ির খোঁজ।
দক্ষিণ কলকাতায় যদি ঠাকুর দেখতে যান, তাহলে এই রেস্টুরেন্ট যেতেই পারেন। রুবি হাসপাতালের কাছে, আনন্দপুরের কাছে অবস্থিত দোকান। জানা গিয়েছে নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের বংশধর মঞ্জিলাত ফতিমা এই হোটেলের কর্ণধার। এখানকার বিরিয়ানির বিশেষত্ব হচ্ছে নবাবি আনায় এখানে বিরিয়ানি তৈরি হয়। যার ফলে স্বাদে এবং গুণে দুটোতেই সেরা। এক প্লেট বিরিয়ানি দুজনের কাফি!
শহর কলকাতার বুকে আউধ ১৫৯০ একটি অন্যতম রেস্টুরেন্ট। এর আউটলেট বিভিন্ন জায়গায় খোলা। এই দোকানের বিরিয়ানি তাদের অওয়ধি স্বাদের জন্য বিখ্যাত। রান্নার সময় এমন বিশেষ মশলা ব্যবহার করা হয়, সেই মশলার ঝাঁজ ও সুবাসই এই বিরিয়ানির বিশেষত্ব। দক্ষিণ কলকাতায় নয় কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে এই হোটেল রয়েছে।
আরসালানের বিরিয়ানি খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বেস্ট কোয়ালিটি সেইসাথে কোয়ান্টিটি সব ভোজন রসিকদের আকর্ষণ করে। পার্কসার্কাসের সাত মাথার মোড়েই আরসালানের মূল আউটলেট। পার্ক সার্কাস বাদে বাঘাযতীন, গড়িয়া, ডায়মন্ড হারবার, সন্তোষপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় খোলা রয়েছে এই দোকান।
দাদা বৌদির বিরিয়ানি মানেই ওয়াও ব্যাপার। বাংলার বড় বড় ফুড ব্লগার থেকে শুরু করে, সেলিব্রেটিরা পর্যন্ত দাদা বৌদিতে এসে বিরিয়ানি খেয়ে যান। মটন হোক কিংবা চিকেন এখানকার বিরিয়ানির স্বাদের জুড়ি মেলা ভার। আর পুজোর সময় দাদা বৌদির বিরিয়ানি হলে পুজো আরো জমে যাবে।
বিরিয়ানির অন্যতম ঠিকানা হচ্ছে করিমস। একবার যে এখানে বিরিয়ানি খেয়েছে তার স্বাদ ভুলতে পারেন নি। এর আগের দিল্লি, মুম্বাইয়ে এই রেস্টুরেন্ট থাকলে বর্তমানে কলকাতাতেও করিমস আধিপত্য দখল করে নিয়েছে। তবে এখানে শুধু বিরিয়ানি নয় কাবাব সহ আরো বিভিন্ন খাবারের জন্য মানুষ ছুটে আসেন।
এই নবাবী খাবারের অন্যতম ঠিকানা হচ্ছে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট। বহু বছর ধরে খিদিরপুরের মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এই দোকানটি। মুঘল আমলের বিরিয়ানির স্বাদ পেয়ে যাবেন এখানে।
কলকাতার বুকে একের পর এক আউটলেট খোলা রয়েছে সিরাজের। বিরিয়ানির আসল স্বাদ নিতে হলে এখানে পুজোর সময় আসুন।