বালিগঞ্জে, যাদবপুর, ফোর্ট উইলিয়াম, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে এবং পার্শ্ববর্তী হাওড়া জেলার ঘুসুরিতে AQI ২৫০-এর বেশি ছিল এবং স্বয়ংক্রিয় পর্যবেক্ষণ স্টেশনগুলিতে এই ধরনের রিডিংগুলি নিম্ন বায়ুর গুণমানকে নির্দেশ করে।
কলকাতার বাতাসে বিষ। পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে বায়ু দূষণ। দীপাবলি ও কালীপুজোর দিন রবিবার কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় সন্ধ্যে থেকেই আকাশ ছিল কুয়াশায় ঢাকা। এর কারণ আর অন্য কিছু নয় , বায়ু দূষণ। প্রচুর আতশবাডি ফাটার কারণে বায়ুর গুণগতমান খারাপ হয়ে যায়। তেমনই জানিয়েছেন রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কর্তারা।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় শহরের বালিগঞ্জে, যাদবপুর, ফোর্ট উইলিয়াম, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে এবং পার্শ্ববর্তী হাওড়া জেলার ঘুসুরিতে AQI ২৫০-এর বেশি ছিল এবং স্বয়ংক্রিয় পর্যবেক্ষণ স্টেশনগুলিতে এই ধরনের রিডিংগুলি নিম্ন বায়ুর গুণমানকে নির্দেশ করে। তেমনই জানিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (ডব্লিউবিপিসিবি) সদর দফতর পরিবেশ ভবনের কন্ট্রোল রুম কাজ করছে। পাশাপাশি ড্রোন নজরদারি এবং চলমান দলগুলিও শহর এবং সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন হটস্পটে কাজ করছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত এয়ার মনিটরিং স্টেশনগুলির রিডিং অনুসারে রবীন্দ্র সরোবরে বায়ু মানের সূচক (AQI) ছিল ২১৬ (PM ২.৫), বালিগঞ্জে ২৫৭, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ২৭৬, যাদবপুরে ২৬৭, ফোর্ট উইলিয়ামে ২৫৫, বিধাননগরে ২৪৩, ১৮৩। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঘুসুরিতে বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল ২৬২। সব জায়গায়েতেই বায়ুর গুণগতমন ছিল অতিরিক্ত খারাপ।
তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ দফতরের মতে এই পরিস্থিতি শুধুনাত্র আতশবাজি ফাটার কারণে ঘটেনি। বছরের অন্যান্য সময়ে আবহাওয়ার পরিস্থিতিতেও ঘটে। বাতাসে কুয়াশা আর ধোঁয়ার কারণে বাতাসে ছোট কণাগুলি থেকে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবারই বালিগঞ্জ ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় AQI ছিল ৩০০। যা আরও খারাপ।
AQI অনুযায়ী শূন্য থেকে ৫০ 'ভাল', ৫১ এবং ১০০ 'সন্তুষ্টিজনক', ১০১ এবং ২০০'মধ্যম', ২০১ এবং ৩০০'দরিদ্র', ৩০১ এবং ৪০০'খুব দরিদ্র' এবং ৪০১ এবং ৫০০ 'গুরুতর' হিসাবে বিবেচিত হয়।
পরিবেশবিদ নব দত্ত বলেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় আতশবাজি কালীপুজো আর দিওয়ালির জন্য সন্ধ্যের পর থেকেই আতশবাজি পোড়ান হয়। সেই কারণেই দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। দূষণের জন্য প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। সবুজ কর্মী সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ বলেন, "যাদবপুর, টালিগঞ্জে, কসবা, বেহালা, বেলেঘাটা, এন্টালি, চিৎপুর, কসিপুর, দমদমের মতো এলাকায় নিয়মিত পুলিশ টহল ছাড়াও দূষণের প্রভাব কমাতে আমরা সন্ধ্যায় গাছে জল ছিটিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিই৷ তবে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বসেছেন রাজভর পটকা ও আতশবাজি ফাটার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়।