চলছে লাগাতার অবস্থান। আর ঘড়ির কাঁটা এগোচ্ছে পাল্লা দিয়ে।
চলছে লাগাতার অবস্থান। আর ঘড়ির কাঁটা এগোচ্ছে পাল্লা দিয়ে।
শুক্রবারই, এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তারা। তারপর নিজেদের ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। সেইসঙ্গে, হুঁশিয়ারির সুরে জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার তাদের দাবি না মানলে তারা আমরণ অনশন শুরু করবেন।
যদিও শনিবার, পুলিশের তরফ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে জানানো হয়, ধর্মতলাতে পুজোর মাঝে অবস্থান সম্ভব নয়। শুক্রর সন্ধ্যায়, নিজেদের সঙ্গে একটি ঘড়ি নিয়ে এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের কথায়, “আমরা এই ঘড়ি নিয়ে এসেছি। প্রতিটি মিনিট এবং ঘণ্টার হিসেব রাখা হবে। তাই এই ঘড়ি অবস্থান মঞ্চে থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি সরকার আমাদের দাবি না মানে, তবে আমরা জীবন বাজি রেখে আমরণ অনশন শুরু করব।”
এই ঘোষণা যখন তারা করছেন, তখন সেই ঘড়ির কাঁটায় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিট। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, আর বেশি সময় বাকি নেই। তাই দাবি পূরণ না হলে, আমরণ অনশনের পথে হাঁটবেন বলে জানান তারা।
শুধু তাই নয়, শুক্রবার মধ্যরাতে জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ তোলেন পুলিশের বাধার কারণে ডেকোরেটর্সের কর্মীরা মঞ্চ বাঁধার কাজ না করেই ফিরে গেছেন। শেষমেশ নিজেরাই মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু করে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকি, বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে সেখানে লাগানো হয় ত্রিপলও।
একইসঙ্গে ধর্মতলা থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন তারা। শুক্রবারই তাদের কয়েকজন জরুরি পরিষেবার কাজে যোগ দেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে গভীর রাতেও পরিষেবা দিতে দেখা যায় জুনিয়র ডাক্তারদের। অনেকে হাত লাগান গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারেও। একই চিত্র ধরা পড়েছে অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।