
কসবা আইন কলেজের মধ্যেই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। যার মধ্যে দুই জন বর্তমান পড়ুয়া আর এক জন প্রাক্তনী। ধৃতদের সঙ্গে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নিবীড় যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যার সেই কারণে দীর্ঘক্ষণ পুলিশ ধৃতদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেনি।
বুধাবার ২৫ জুন নির্যাতিতা তরুণী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পার্ক সার্কাসের ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। সাক্ষদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আর ক্রাইম সিন ঘিরে রাখে। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। সেখান থেকে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করে। তারপরই এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় মধ্যরাতেই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সকালে বাকি দুই জনকে গ্রেফতার করা। শুক্রবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর ধৃত তিন জনই ল'কলেজের সঙ্গে যুক্ত। নির্যতিতা তরুণী বয়ান অনুযায়ী বুধবার অর্থাৎ ২৫ জুন সন্ধ্যে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে ল'কলেজের তরুণীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। ক্যাম্পাসের ভিতরই ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে অভিযুক্তদের 'জে' 'এম' 'পি' নামে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত 'এম'। তেমনই জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র। 'এম' তার ফেসবুক প্রোফইলে নিজেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার জেলা টিএমসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও পরিচয় দিয়েছে। এছাড়া নিজের পেশাগত পরিচয়ের জায়গায় লিখেছে সে ক্রিমিনাল আইনজীবী। বাকি দুই জনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
কলজের অধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কলেজের ক্লাস চলে। এই ঘটনা তার অনেক পরে ঘটেছে। তিনি এর বেশি আর কিছু জানেন না বলেও জানিয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য কোনও ভাবেই কলেজ দায়ী নয়। তিনি জানান, মূল অভিযুক্ত ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসাবে ছিলেন। জিবি রেজ়লিউশনের মাধ্যমে ৪৫ দিনের জন্য তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। জিবি প্রেসিডেন্টকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কলেজের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।