বাজি উদ্ধারের পর দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে গাড়ির ভিতরে থাকা বাক্সে ভুয়ো কিউআর কোড লাগিয়ে রেখেছিলেন অভিযুক্তেরা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাড়ি ভর্তি নিষিদ্ধ বাজি আটক করল কলকাতা পুলিশ। বুধবার সকালে কলকাতার বড়বাজারের কাছে মহাত্মা গান্ধী রোডে একটি গাড়িকে দাঁড় করায় পুলিশ। তাতে বড় বড় প্যাকেটে কিউ আর কোড লাগানো ছিল। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় সেই কোড স্ক্যান করে দেখা যায় কিছুই নেই। পরে পরে বাক্স খুলে প্রায় প্রায় ৮৪০ কেজি বাজি উদ্ধার করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে আট কুইন্টাল নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুয়ো কিউআর কোড লাগিয়ে আনুমানিক সাড়ে আট কুইন্টাল বাজি পাচার করা হচ্ছিল বিহারে বলে খবর। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই বিপুল পরিমাণ বাজি। বাজি উদ্ধারের পর দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে গাড়ির ভিতরে থাকা বাক্সে ভুয়ো কিউআর কোড লাগিয়ে রেখেছিলেন অভিযুক্তেরা। এই বাজিগুলি কোথায় তৈরি হয়েছিল, এগুলি পাচারের নেপথ্যে অন্য কোনও বড় মাথা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনায় চম্পাহাটির বাসিন্দা বাপ্পা মুখোপাধ্যায় এবং রঞ্জিত মিত্র ওরফে কালি নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিস্ফোরক আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাজিগুলি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুলিশ থানা এলাকার অন্তর্ভুক্ত চম্পাহাটি থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিহারের পাটনায়।
এদিকে, সপ্তাহ দুয়েক আগেই বালুরঘাট শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চকভৃগু পিডব্লিউডি পাড়া এলাকা থেকে নিষিদ্ধ শব্দ বাজি উদ্ধার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। এই ঘটনায় বাড়ির মালিক তরুণ নন্দীকে আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ শব্দ বাজির বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকার বেশি৷ এ দিকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দ বাজি উদ্ধারের ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
উল্লেখ্য দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বেআইনি বাজি কারখানা রোখার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। নিয়ম না মেনে, লাইসেন্স ছাড়া কোনওভাবেই বাজি তৈরি করা যাবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে নবান্ন।