সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তরুণী ডাক্তার যে সেমিনার হলে ঘুমোচ্ছিলেন, সেখানে রাত ৩টের কিছুক্ষণ পরে ঢোকে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। সেই সময় সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে।
আর জি কর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে কর্তব্যরত চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি মহিলা ডাক্তারের নিথর দেহ সকালে হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, পরনের কাপড় ছেঁড়াফাটা। রাতে ডিউটি সেরে ডিনার করে সেমিনার রুম দু'ঘন্টার রেস্ট নিতে গিয়েছিল সেই তরুণী, পরিণতিতে মিলল নৃশংস মৃত্যু!
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তরুণী ডাক্তার যে সেমিনার হলে ঘুমোচ্ছিলেন, সেখানে রাত ৩টের কিছুক্ষণ পরে ঢোকে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। সেই সময় সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৪৫ মিনিট মতো হলের ভেতর ছিল সে। এরপর তাঁকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। জেরার মুখে নিজের দোষ স্বীকার করেছে সে। তবে জানা যাচ্ছে, এমন নৃশংস কাজের পরেও তাঁর মধ্যে কোনও রকম অনুতাপ নেই। উল্টে তরুণী চিকিৎসককে কেন খুন করেছে এবার সেকথা জানাল সে!
সূত্রের খবর, ধৃত পুলিশকে জানিয়েছে, তরুণী চিকিৎসক চিৎকার করে লোক ডেকে ফেলত, সেই কারণে তাঁকে হত্যা করেছে সে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, জেরার সময় নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। তবে তাঁর হাবভাব দেখে নাকি বোঝার উপায় নেই সে এমন একটা জঘন্য অপরাধ করেছে। এমনকি সে নাকি তদন্তকারীদের বলেছে, আমায় ফাঁসি দিলে দিন!
কিৎসক ধর্ষণ-খুনের এই ঘটনায় চারজন চিকিৎসককে নোটিশ পাঠিয়েছে লালবাজার। এই চারজনের মধ্যে তিনজন চিকিৎসক এবং একজন হাউসস্টাফ। ঘটনার রাতে মৃত তরুণীর সঙ্গে তাঁদের কী কথা হয়েছিল, সেদিন তাঁরা কোনও রকম অস্বাভাবিকত্ব দেখেছিলেন কিনা, এসব বিষয়েই গোয়েন্দারা জানতে চাইবেন বলে খবর। ঘটনার রাতে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছিলেন ওই চার চিকিৎসক। এবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।