
আর জি কর ধর্ষণ-খুনকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। তাদের তদন্তের ভিত্তিতেই আদালত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এই সঞ্জয়কেই একমাত্র গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু সঞ্জয়কেই একমাত্র দোষী হিসেবে মানতে নারাজ নির্যাতিতার মা-বাবা। এবার তৃণমূলের অন্দর থেকেও এমনই সুর শোনা গেল।
তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসল আসামিকে খুঁজে বের করাটাই মূল উদ্দেশ্য। অন্যদিকে, এক প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের তিনবারের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, তাঁর তো মনে হয় না, আর জি কর কাণ্ডে দোষীরা সবাই এখনও ধরা পড়েছে।
এদিকে সদ্য নবান্ন অভিযানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল নির্যাতিতার মা ও বাবাকে। তারপরই তাঁদের মানসিক অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার বা পিটিএসডিতে ভুগছে তারা। এর উপসর্গ হল অ্যরাইজাল অ্যান্ড রিঅ্যাক্টিভিট সিম্পটম। এমন রোগীরা হঠাৎ চমকে যান। আকস্মিক রাগে ফেটে পড়েন। ওই ব্যক্তির শুতে, খেতে, মনঃসংযোগ করতে কিংবা সাধারণ কাজকর্মে অসুবিধে হয়। একাধিকবার অভয়ার মায়ের রাগের মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। এক্ষেত্রে রোগী ডিপ্রেশনে চলে যান। মনগড়া কথা বলেন। চিন্তা তাঁকে গ্রাস করে। তিনি বলেন, ওর মাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণ মুড সুইং হচ্ছে। তাঁদের কেস থেকে আপাতত সরিয়ে রাখা হোক। এর মধ্যে আর ওঁদের না জডানোই ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শ, এখন তাদের মেডিটেশন অথবা মনঃসংযোগ দরকার। প্রয়োজন সাইকোথেরাপির।
এদিকে, ৯ অগাস্ট ২০২৪ সালে আরজিকর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনায় অনেকে যুক্ত ছিল বলে দাবি ওঠে। তবে, শাস্তি পেয়েছে শুধু সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। ঘটনার ১ বছর পূর্তির দিন ফের হয় নবান্ন অভিযান। অভিযোগ ওঠে সেখানে নির্যাতিতার মাকে মারধর করে পুলিশ।