ঘটনার পর সাত মাস পেরিয়েছে। এখন আর জ্বলে না মোমবাতি। এখন আর সন্ধ্যে হলেই এলাকায় মহিলারা বেড় হয় না প্রতিবাদ জানাতে। সময় সময় কিছু ভুলিয়ে দেয়। তার একেবারে জলজ্যান্ত প্রমাণ আরজি কর মেডিকেল কলেজ-এর তিলোত্তমার হত্যাকাণ্ড। সবাই সব কিছু ভুলে যে যার জীবনের ছন্দে ফিরেছে। কিন্তু বাবা-মা, যেই দুটো মানুষ এত কষ্ট করে ছোট থেকে মেয়েক বড় করলেন ডাক্তারি পড়ালেন, আজ তাঁরা কী পারবেন, আমার আপনার মতো এই ঘটনাটা ভুলে যেতে। না তা হয়নি-
মেয়েকে শেষ দেখা দেখতে দেওয়া তো দূর, ''মেয়ের মৃত্যুর পর চারদিন বাড়ি ঘিরে, মুখ একেবারে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল এই দুই টিএমসি নেতা''-ক্ষোভে হতাশায় এতদিন পর হলেও নাম অবশেষ প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
বিচারপতি তির্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে হবে মামলার শুনানি। তদন্তে যে গাফিলতি ছিল তা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। শুধু সঞ্জয় নয় এই ঘটনার পেছনে রয়েছে বড় বড় বেশ কয়েকটি মাথা, যাঁদের আবারও নতুন করে জেরা করা উচিত।
তিলোত্তমার বাবা-মা এও জানিয়েছেন, 'শুধু পুলিশ নয়, এই তদন্তে গাফিলতি করেছে সিবিআই-ও। কিছুই করেননি। তারা চাইলেই সঠিক ভাবে তদন্ত করে এতদিনে দোষীরা তাঁদের যোগ্য সাজা পেতেন। কিন্তু তা হয়নি।
প্রকাশ্যে নাম জানিয়ে তিলোত্তমার বাবা-মা বলেছেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও পুর চেয়ারম্যান সোমনাথ দে-মেয়ের মৃত্যুর পর চারদিন কার্যত বাড়ি ঘিরে রেখেছিল, আমাদের মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন এই দুই টিএমসি নেতা'
সুপ্রিম কোর্টের অনুমিতে অনুসারে তির্থঙ্কর ঘোষের-একক এজলাসে এই মামলার শুনানি চলতে পারে। তিলোত্তমার পরিবারের চোখ এখন এই কোর্টর নির্দেশের অপেক্ষায়।