আরজি করে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ১৬ দিন পার, রহস্যের জ়ট ছাড়াতে এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে সিবিআই

৯ অগাস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ। প্রথমে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই।

আরজি করকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সঞ্জয়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সঞ্জয় ছাড়াও আরজি কর হত্যাকাণ্ডে সিবিআই-এ স্ক্যানারে রয়েছে পাঁচ জন। প্রথম জনই হল সন্দীপ ঘোষ, আরজি করের প্রাক্তন সুপার। তাঁর সঙ্গে রয়েছে চার মেডিক্যাল পড়ুয়া। যারা সেই রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে ছিল।

আরজি করজ-কাণ্ডের রহস্যের জট ছাড়াতে সিবিআই ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্টও করিয়েছে। কিন্তু সূত্রের খবর এখনও সম্পূর্ণ ধোঁয়াশা কাটেনি।

আরজি কর-কাণ্ডে সব থেকে বড় প্রশ্ন, কোথায় খুন করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত- তা স্পষ্ট নয়।

আরজি কর তদন্তে সিবিআই-এর কাছে এখনও স্পষ্ট নয় তরুণী চিকিৎসককে হত্যার মোটিভ। কী কারণে খুন করা হয়েছে। শুধু ধর্ষণ করে খুনের তত্ত্বে সায় নেই তদন্তকারীরে। সূত্রের খবর, হত্যার পিছনে রয়েছে বড় কোনও ষড়যন্ত্র।

আন্দোলনকারীদেরও দাবি আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে হত্যার পিছনে রয়েছে বড় কোনও ষড়যন্ত্র। কিন্তু কী সেই ষড়যন্ত্র তা নির্যাতিতার ঘনিষ্টদের কাছেও স্পষ্ট নয়।

সূত্রের খহর সিবিআই এখনও উত্তর পায়নি প্রথম কে মৃতদেহ দেখেছিল। সন্দেহভাজনরা বয়ান বদল করছে বারবার, অভিযোগ সিবিআই সূত্রের।

কে প্রথম মৃতদেহ দেখেছিল, ঠিক কোনও সময় তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল, সেই সময় মৃতার পাশে বা ঘটনাস্থলে কে বা কারা উপস্থিত ছিল- পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের সঙ্গে টাইম লাইন নিয়েও ধ্বন্দে পড়েছে সিবিআই- তেমনই বলছে সূত্র।

তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকলে তিনি বাধা দিয়েছেন। তাঁর নখে ধর্ষকের শরীরের টিস্যু পাওয়া যাবেই। এরই মধ্যে যে প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশি করে দেখা দিয়েছে, তা হল, তেমন কোনও টিস্যুর সঙ্গে ধৃতের শরীরের টিস্যুর মিল আছে কি? ধর্ষণের ক্ষেত্রেও তেমনই পাওয়া যাবে বীর্যের নমুনা।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে মৃতার শরীরে একরকম চটচটে তলর পাওয়া গেছে- সেটা কী বীর্য- তাহলে কার- সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও নেই।

কে বা কারা ক্রাইম সিনের চরিত্র পুরোপুরি বদল করল তারও উত্তর কী আছে সিবিআই-এর হাতে- তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর চার চিকিৎসক পড়ুয়া প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যুক্ত বলেও মনে করছে তদন্তকারীরা। সেই খানেই প্রশ্ন তাহলে খুনি আর ধর্ষক কে?