RG Kar Case: আরজি করে খুনের মামলায় চার্জ গঠন, এখনও যেসব প্রশ্নের উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছে সিবিআই

৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। প্রথমে মামলার তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তের ভার যায় সিবিআই এর হাতে।

আরজি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংক্রান্ত দুটি ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। একটি ঘটনা হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে তরুণী চিকিৎসক খুন। অন্যটি হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের আর্থিক তছরুপ।

আরজি কর হত্যাকাণ্ড ও আর্থিক তছরুপের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও। পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার।

সোমবার শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর হত্যামামলার চার্জগঠন করার কথা। কিন্তু তার আগে একাধিক প্রশ্ন অধরা সিবিআই-এর কাছে।

আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে নির্মম ভাবে খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সিবিআইস রিপোর্টে বলা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে নৃশংস খুন? খুনের মোটিভ কী? এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে।

আরজি কর হত্যাকাণ্ডে কীভাবে কেন আড়াল করার চেষ্টা করেছিল টালা থানার তৎকালীন ওসি ও তৎকালীন হাসপাতাল সুপার সন্দীপ ঘোষ? কীসের ষড়যন্ত্র? কেন প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে? খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কেউ যুক্ত কিনা? - এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও সিবিআই-এর কাছে অধরা।

মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ৮৭ দিন পর, সোমবার সেই মামলায় চার্জ গঠন হতে চলেছে শিয়ালদহ আদালতে। চার্জ গঠন হলেই শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।

অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে তাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। সিবিআই আঙুল তুলেছে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের দিকেও। কিন্তু উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে সব অভিযোগ প্রমাণ করতে সমস্যায় পড়ছে সিবিআই।

সোমবার নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সিবিআই আরজি কর হত্যাকণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আদালতে পেশ করেছে। এর আগে খুন ও ধর্ষণের ধারায় সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই।

সোমবারই জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের। সেই মতো সোমবার সন্দীপ ঘোষ, অভিজিৎ মণ্ডলকে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ফের আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।