আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ-কাণ্ডে উত্তাল কলকাতা। জুনিয়ার ডাক্তারদের লালাবাজার অভিযানকে কেন্দ্র করে রীতিমত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিবাদীদের আটকাতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের অনেক আগেই আটকে দেওয়া হয়েছে প্রতিবাদীদের। তবে সেখানে দাঁড়িয়েই চিকিৎসকরা কলকাতা পুলিশকে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিল।
লালবাজারের অনেক আগেই জুনিয়ার ডাক্তারদের আটকে দিল কলকাতা পুলিশ। বৌবাজার সহ একাধিক জায়গায় লোহার ব্যারিকেড তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ। সেখানেই চিকিৎসকরা বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের অভিযোগ, 'শাস্তিপূর্ণ মিছিল হওয়ার পরেও কেন তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকান হল?' বিক্ষোভকারীদের দাবি 'হয় আমাদের প্রত্যেককে ভিতরে যেতে দিতে হবে নয়তো সিপি বিনীত গোয়েলকে ১০ মিনিটের মধ্যে আসতে হবে।' বিনীত গোয়েল না আসা পর্যন্ত তারা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিন মিছিল থেকে বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। সিপির পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় প্রতিবাদীরা। জুনিয়ার ডাক্তাররা স্লোগান তোলেন, 'আয়রে বিনু দেখে যায় ডাক্তারদের ক্ষমতা'। কখনও চিকিৎসকরা গর্জে ওঠেন,'পুলিশ তোমার এি হল কথায় কথায় মিথ্যা বল।' জুনিয়ার ডাক্তাররা প্রতিকী শিরদাড়া নিয়ে মিছিলে এসেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল কলকাতা পুলিশ শিরদাড়া সোজা রেখে তদন্ত করতে পারছে না। তাদের পোস্টার আর ব্যানারেও ছিল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেচারণ।
এদিন কলকাতা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় জুনিয়ার ডাক্তারদের বৈঠক হয়। কিন্তু কলকাতা পুলিশ ও জুনিয়ার ডাক্তাররা নিজের অবস্থানে অনড় থাকে। কলকাতা পুলিশ জুনিয়ার ডাক্তারদের লালবাজারের ভিরতে ঢুকতে দিতে রাজি হয়নি। ডাক্তারও বিক্ষোভ অবস্থানে অনড় থেকেছেন।
জুনিয়ার ডাক্তাররা আগেই জানিয়েছিল, সোমবার দুপুর ২টোয় কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করবে জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁদের গন্তব্য লালবাজার। সেইমত এদিন দুপুর থেকেই কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হয়। জুনিয়ার ডাক্তারদের মিছিলে সামিল হয়েছেন কামদুনির প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়ালও। চার দফা দাবিতে জুনিয়ার ডাক্তারদের লালবাজার অভিযান। জুনিয়ার ডাক্তারদের কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ হল- ১.আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি আর জি কর কাণ্ডে দোষীদের বাঁচাতে প্রমান লোপাট করেছে কলকাতা পুলিশ তা আদালতের কথায় স্পষ্ট। আর এই ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। উল্লেখ্য কামদুনি কাণ্ডে প্রমান লোপাটের অভিযোগ আছে বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে। ২. এদিন ১৪ আগস্টে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা। তাদের দাবি সেদিন গোটা ঘটনা ঘটেছে পুলিশের সামনে। ওই ঘটনায় আসল কারা দোষী তাদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিও জানিয়েছে তারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।