কনসার্ট শুরু হবে ১৩ই মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে। শুধু সলমন নন, তাঁর সঙ্গে মঞ্চ মাতাবেন এক ঝাঁক তারকা।
বলিউডের ভাইজানকে দেখতে মুখিয়ে শহর তিলোত্তমা। অবশেষে সব জল্পনা কাটিয়ে ১৩ই মে কলকাতায় পারফর্ম করতে আসছেন সলমন খান। ‘দা-ব্যাং দ্য ট্যুর-রিলোডেড’-এর অংশ হিসেবে ১৩ই মে কলকাতার ইস্ট বেঙ্গল মাঠে পারফর্ম করতে প্রস্তুত সলমন। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার তরফে অনুষ্ঠানের ভেনু হিসেবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে, এবং দর্শকরা যাতে সারাজীবনের ভিজ্যুয়াল ট্রিট পান তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কনসার্ট শুরু হবে ১৩ই মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে। শুধু সলমন নন, তাঁর সঙ্গে মঞ্চ মাতাবেন এক ঝাঁক তারকা। থাকছেন সোনাক্ষী সিন্হা, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়, প্রভু দেবা, আয়ূষ শর্মা। অন্য দিকে, গানে দর্শকের মন জয় করবেন গুরু রণধওয়া। দর্শকাসনকেও সলমনের অভিনীত বিভিন্ন ছবির নামানুসারে ভাগ করা হয়েছে। যেমন ভাইজান জোন, টাইগার জোন, ওয়ান্টেড জোন ইত্যাদি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষে উৎযাপনের সময় বড় করে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই সলমনের এই অনুষ্ঠান ক্লাবের মাঠে করার প্রস্তাব দিয়েছিল লাল-হলুদ। সলমনের টিমও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পরিকাঠামোয় খুশি হয়েছেন। সেই কারণে ইস্টবেঙ্গল মাঠকেই বেছে নেওয়া হল।
তাই সলমনের কনসার্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যে। অনলাইনে দ্রুত গতিতে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। টিকিটের দাম কত? ৯৯৯ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে টিকিটের মূল্য। এর পরে দাম যথাক্রমে ১১৫০০ টাকা, ১৬৫০ টাকা, ২৫০০ টাকা, ৩৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ধার্য করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ২৫ হাজার টাকায় ‘দাবাং জোন’-এ দুজনের জন্য সোফা সিট বুক করা যাবে।
প্রায় ১৩ বছর পর আবার কলকাতায় আসছেন সলমন। শেষ বার ‘ওয়ান্টেড’ ছবির প্রচারে তিলোত্তমার বুকে পা রেখেছিলেন সলমন। তাই সলমনের কনসার্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যে। সোনাক্ষী ও সলমনের জুটি এমনিতেই বেশ পছন্দের ভক্তদের। তাই এই জুটিকে মঞ্চে লাইভ পারফর্ম করতে দেখতে মুখিয়ে রয়েছে কলকাতা। তারওপর থাকছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, আয়ূশ শর্মা। সব মিলিয়ে সোনায় যে সোহাগা, তা বলার আর বাকি থাকে না।
উল্লেখ্য গত কয়েক বছর বার কয়েক সলমনের কলকাতায় আসবার কথা থাকলেও পরে তা ভেস্তে গিয়েছে। ২০০৯ সালে ‘ওয়ান্টেড’ ছবির প্রচারে কলকাতায় একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবার কথা ছিল সলমনের, মাঠে আসতেই সলমনকে ঘিরে ধরে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় নিরাপত্তার কারণে হোটেলে ফিরে যেতে বাধ্য হন সলমন, বাতিল হয় ম্যাচ। সলমনের নিরাপত্তা নিয়ে সবরকম বন্দোবস্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশও।