এবার এই ঘটনায় এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল। সিবিআই সূত্রে খবর, রাতে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যৌনপল্লিতে গিয়েছিল অভিযুক্ত। তাঁর সঙ্গে এক বন্ধুও ছিলেন।
শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সে দিন রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ এবং সেমিনার হল থেকে উদ্ধার একটি ছেঁড়া হেডফোনের সূত্র থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ পরে জানায়, জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আরজি কর-সহ শহরের প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু হয়। দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক এবং পড়ুয়ারা। কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
এবার এই ঘটনায় এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল। সিবিআই সূত্রে খবর, রাতে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যৌনপল্লিতে গিয়েছিল অভিযুক্ত। তাঁর সঙ্গে এক বন্ধুও ছিলেন। তবে যৌনপল্লিতে গিয়ে অভিযুক্ত কেবল মদ খেয়েছিল বলেই দাবি করেছে তদন্তকারীদের কাছে। সেখান থেকে আবার আরজি করে ফেরে সে। তার পরেই চার তলার সেমিনার হলে এই ঘটনা ঘটে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, সে দিন রাত ১১টা নাগাদ আরজি করের সিসিটিভিতে অভিযুক্তকে দেখা যায়। তখন সে হাসপাতালে ঢুকেছল। তার পর কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার বেরিয়ে যায়। বাইরে কোথাও সে মদ খেয়েছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। পরে আবার হাসপাতালে ফেরে সে। জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হলের কাছে সিসি ক্যামেরায় তাকে দেখা যায় ভোর ৪টে নাগাদ। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট পর সেখান থেকে আবার বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত। এই ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। অভিযুক্তের গতিবিধি যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।