আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তার সহকর্মীরাও জড়িচ ছিল বলে মনে করছেন মৃতার বাবা ও মা। হাসপাতালের বেশ কয়েকজন জুনিয়ার ডাক্তার ও ইন্টার্নের নাম আগেই উঠেছে। এবার সরসারি নিহত চিকিৎসকের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন নিহতের অভিভাবকরা। তারা কয়েক জনের নাম ইতিমধ্যেই সিবিআইকে দিয়ে এসেছেন বলে সূত্রের খবর।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিবিআই কর্তা জানিয়েছেন, নিহত চিকিৎসকের অভিভাবকরা তাঁদের কাছে একটি নামের তালিকা দিয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন ও জুনিয়ার ডাক্তারের নাম রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিবিআই কর্তা আরও বলেছেন, নিহত চিকিৎসককের বাবা ও মা মনে করেছেন তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে একজন জড়িত ছিল না। অনেক জনে মিলেই এই কাজ করেছে। তাই অভিভাবকদের যাদের যাদের ওপর সন্দেহ রয়েছে তাদের নামের তালিকা তারা সিবিআইকে দিয়েছে। সূত্রের খবর নামের তালিকা মিলিয়ে তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সিবিআই সূত্রের খবর নামের পাশাপাশি সন্দেহের কারণও জানিয়েছে নিহতের বাবা ও মা।
সিবিআই সূত্রের খবর অভিভাবকরা যাদের নামের তালিকা দিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান হবে। যারা প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল তাদের থেকে কেস সম্পর্কে যাবতীয় ঘটনা জেনে নেওয়া হবে।
সিবিআই সূত্রের খবর আরজি কর হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনায় ৩০ জন জড়িত বলে অনুমান। ৩০ জনকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও মৃতের সহকর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মৃত্যের আগে পর্যন্ত চিকিৎসক তরুণী সহকর্মীদের সঙ্গে ছিল। রাত ২টো ঘুমাতে গিয়েছিল। পরের দিন সকাল ৯টায় মৃতদের উদ্ধার হয়। এই দীর্ঘ সময় তরুণীর কোনও খোঁজ কোন তাঁর সহকর্মীরা নেয়নি। যদিও সিবিআই এই যুক্তিদের তেমন গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বলেও সূত্রের খবর। সহকর্মীদের সঙ্গে চিকিৎসকের সম্পর্ক কেমন ছিল তাও জানার চেষ্টা করেছে সিবিআই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।