নিউটাউনের একটি রেস্তোরাঁর সামনে তুমুল অশান্তি। যার সঙ্গে নাম জড়িয়ে গেল অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর।
নিউটাউনের একটি রেস্তোরাঁর সামনে তুমুল অশান্তি। যার সঙ্গে নাম জড়িয়ে গেল অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর।
শুক্রবার, নিউটাউনের অন্তর্গত সাপুরজির কাছে একটি রেস্তোরাঁর সামনে এই ঘটনা ঘটে। তারপরই হইচই পড়ে যায় ওই এলাকায়। এমনকি, অভিনেতার বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলারও অভিযোগ ওঠে।
তৃণমূল বিধায়ক সোহম স্বীকারও করে নেন যে, তিনি গায়ে হাত তুলেছেন। কিন্তু কেন এমন হল? তাঁর কথায়, সোহমকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক। তাঁর নেতা তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও নাকি বাজে কথা বলতে থাকেন রেস্তোরাঁর মালিক।
আর এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সোহম সোজা তাঁকে চড় মারেন। এদিকে এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিধাননগর কমিশনারেটের অধীনে থাকা টেকনোসিটি থানার পুলিশ।
সোহম জানাচ্ছেন, “আমি তখন শট দিচ্ছি। হঠাৎ শুনি খুব চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছে। নীচে এসে জানতে চাইলাম কী হয়েছে? তখন দেখি উনি আমার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও বাজে ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। রেস্তোরাঁর মালিককে সেই কথা বলতেই উনি ঔদ্ধত্য দেখাতে শুরু করেন।”
তৃণমূল বিধায়কের কথায়, “শুনলাম মালিক বলছেন, আমার জানার দরকার নেই কে এমএলএ। তারপর আমাকে গালিগালাজ শুরু করেন। সবথেকে বড় বিষয়, আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাজে কথা বলেছেন উনি। তখনই আমার মাথাটা গরম হয়ে যায়। তবে এমন বাজে ব্যবহার পেয়ে আমরা সবাই খুব অবাক।”
সোহমের অভিযোগ, ওই রেস্তোরাঁটিতে শুটিং-এর কাজে এসেছিলেন তিনি। রেস্তোরাঁর সামনে তাঁর গাড়িটিও রাখা ছিল। হটাৎই মালিক এসে তাঁর গাড়ি সরাতে বলেন। আর এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় বচসা এবং কথা কাটাকাটি। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে শুরু হয় ঝামেলা।
অভিনেতা বলেন, “দু-চারটে চড় মেরেছি আর ধাক্কা দিয়েছি। আমরা তো দিনের শেষে মানুষ। আমাদেরও আবেগ জড়িয়ে থাকে। আর অভিষেকের নামে বললে তো চুপ করে মেনে নেব না। লোকাল থানায় সব জানিয়েছি।”
সবমিলিয়ে, শুটিং-এ গিয়ে ঝামেলায় নাম জড়িয়ে গেল অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক সোহমের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।