২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। অর্পিতা জানিয়েছিলেন এই টাকা তাঁর নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করল। তবে এখনই নয়। আরও দেড় মাস পরে জামিন কার্যকর হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ইডির মামলায় জামিন পাবেন পার্থ। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে কিছু শর্ত। নিয়োগ দুর্নীতি ও আয় বহির্ভূত সম্পত্তির কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি গত ৪ ডিসেম্বর শেষ হয়েছিল। রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতিরা। এই সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, তিনি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) যদি সত্যি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন তবে এত সহজে জামিন পেতে পারেন না। নিয়োগ মামলায় তিনি ড্যামি সামনে রেখে দুর্নীতি করেছিলেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আদালত।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই তত্ত্ব বারবার খাড়া করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার। যা তাঁর জামিনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত একাধিক শর্তেই পার্থকে জামিন দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শীতকালীন ছুটি অর্থাৎ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চার্জ গঠন করতে হবে। যেসমস্ত সাক্ষীদের প্রাভাবিত করার আশঙ্কা থাকছে, তাদের বয়ান রেকর্ড করতে হবে। চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চার্জ গঠন করতে হবে। এই সকল শর্ত পুরণ হতে তবেই ১ ফেব্রুয়ারি জামিন পাবেন পার্থ।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। অর্পিতা জানিয়েছিলেন এই টাকা তাঁর নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর লোক এসেই বাড়ির একটি নির্দিষ্ট ঘরে টাকা রেখে যায়। প্রয়োজন পড়লে টাকা নিয়ে যায়। সেই সময়ই অর্পিতা আর পার্থকে একই দিনে গ্রেফতার করেছিল ইডি। অতি সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন অর্পিতা। অর্পিতার জামিনের পরই পার্থর জামিনের জন্য জোরালো সওয়াল করেন তার আইনজীবীরা। তবে জামিন পেলেই জেল থেকে মুক্তি আপাতত নয়। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই -এরও মামলা রয়েছে।
সবিস্তারে আসছে...