
গত এপ্রিল মাসে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর আগে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, ‘‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ন জালিয়াতি।’
এর আগে অবৈধ নিয়োগের কথা স্বীকার নেয় কমিশনও। শেষ অবধি ৮ হাজার ৩২৪ জনের নিয়োগ অবৈধ বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল এসএসসি। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘এসএসসি যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করতে পারলে পুরো প্যানেল বাতিল করা ঠিক হবে না।’, সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর সময় দিয়েছিল আদালত।
সেই সময় সব পক্ষের বক্তব্য শুনে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ হাই কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দিয়েছিল তাতে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানায়, এখনই কারও চাকরি বাতিল নয়। যোগ্য-অযোগ্য মিলিয়ে ২৫৫৭৩ জনেরই চাকরি আপাতত বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন এসএসসি মামলা শুনানির জন্য উঠলে রাজ্য জানায় তারা সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতে চায়। সর্বোচ্চ আদালতে রাজ্যের তরফে হাজির আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এসএসসিও হলফনামা জমা দেওয়ার আর্জি জানায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। এরপরই সেই আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে উচ্চ আদালতের পাল্টা মামলা হলে ১৬ জুলাই পর্যন্ত সবার চাকরিই বহাল রেখেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন সেই মামলা শুনানির জন্য উঠলে তিন সপ্তাহ পরের ডেট দিল শীর্ষ আদালত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।