অখিল গিরির পদত্যাগের দাবি নিয়ে সোমবার রাজভবনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে রাজ্যপাল এদিন শহরে না থাকায় সচিবের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ফিরে আসেন বিরোধী দলনেতা।
দিন দুয়েক আগেই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীর ধনখড়ের পদাঙ্ক অনুসণ করবেন, তেমন রাজ্যপাল প্রয়োজন বাংলার। এই কথার অবতারণার প্রেক্ষিত ছিল অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও তাঁর সাক্ষাত না পেয়ে ফিরে আসা শুভেন্দু অধিকারীর অসন্তোষ।
কি ঘটেছিল
অখিল গিরির পদত্যাগের দাবি নিয়ে সোমবার রাজভবনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে রাজ্যপাল এদিন শহরে না থাকায় সচিবের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ফিরে আসেন বিরোধী দলনেতা। আর রাজভবন থেকে বেরিয়েই শুভেন্দু জানান, অখিল গিরিকে বরখাস্ত না করা হলে জোরালো আন্দোলনে নামবে বিজেপি। পাশাপাশি এদিন রাজ্যপালের 'নীরব' ভূমিকা নিয়েও সরাসরি প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে পরেই রাজ্যপাল লা গনেশনের সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ৭২ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় দেননি রাজ্যপাল। আর তাতেই বেজায় চটে যান বিরোধী দলনেতা। বাধ্য হয়ে রাজ্যপালকে না পেয়ে রাজ্যপালের সচিবের হাতেই স্মারকলিপি জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী।
তারপরে এই ঘটনা নিয়ে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু। স্মারক লিপি জমা দেওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘উনি রাজভবনে নেই। তবে উনি ইম্ফলে থাকুন বা দিল্লিতে থাকুন, আমরা চাই উনি ইমেইলে বা অন্য কোনওভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিন।’ এরপরেই কিছুটা হয়ত কাকতালীয় ভাবেই বদল করা হল রাজ্যের রাজ্যপালকে।
সিভি আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কার্যালয় বলেছে, "ভারতের রাষ্ট্রপতি ডক্টর সি ভি আনন্দ বোসকে পশ্চিমবঙ্গের নিয়মিত রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করতে পেরে খুশি।" উল্লেখ্য, মণিপুরের গভর্নর লা গণেশন গত জুলাই থেকে পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়র উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পদ ছেড়ে দেওয়ার পর লা গণেশনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন আনন্দ। প্রাক্তন আইএএস আধিকারিক এবং সম্প্রতি মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা আনন্দের জন্ম কেরলের কোট্টায়ামে। ১৯৫১ সালে ২ জানুয়ারি। পদবী বোস হলেও আদপেও বাঙালি নন রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল। তিনি প্রাক্তন আইএএস আধিকারিক এবং সম্প্রতি মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা। আনন্দের জন্ম ১৯৫১ সালে ২ জানুয়ারিতে কেরলের কোট্টায়ামে।