
নিয়োগের দাবিতে বুধবার দফায় দফায় বিক্ষোভ শহরে। দুপুরে ধর্মতলা,এক্সাইড মোড়, ক্যামাক স্ট্রিটের পর রাতে ফের শেয়ালদহ চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। আটক করা চাকরিপ্রার্থীদের মুক্তির দাবিতে শিয়ালদহ স্টেশনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। কেন এতক্ষণ ধরে আটকে রাখা হচ্ছে তাঁদের? প্রশ্ন তুলে সরব টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
বুধবার চাকরির দাবিতে ফের একবার উত্তাল হয়ে ওঠে শহর। চাক্কা জ্যাম ধর্মতলা থেকে এক্সাইড চত্বরে। রাজপথে ভিড় জমাতে থাকে হাজার হাজার আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থী। বিক্ষোভকারীদের দমাতে মোতায়ন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় তিলোত্তমা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধরপাকর শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থাল থেকেই আটক করা হয় বেশ কিছুজনকে। সেখান থেকে তাঁদের হেয়ার স্ট্রিট থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। এবার তাঁদের মুক্তির দাবিতে শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
একদিকে উত্তাল এক্সাইড মোড়, এরইমধ্যে ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে ভিড় জমান টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। প্রত্যেকের একটাই বক্তব্য 'নিয়োগ ছাড়া জায়গা ছাড়ব না।' পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয় পড়েন অনেকে। আহতও হন বেশ কয়েকজন। অনেককে আন্দোলনস্থল থেকেই তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখছেন না। পুলিশ অমানুষের মত ব্যবহার করছে। আমরা ২০১৪ থেকে পাশ করে বসে আছি আর কতদিন বসে থাকব? এবার নিয়োগ চাই।'
প্রসঙ্গত, এর আগেও নিয়োগের দাবিতে গত করুণাময়ীতে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। মঙ্গলবাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আচমকাই বলপূর্বক বিক্ষোভকারীদের তুলে দেয় পুলিশ। কার্যত জোড় করেই টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় চাকরীপ্রার্থীদের। ১৫ মিনিটের মধ্যে তুলে দেওয়া হয় ৮৪ ঘন্টার আন্দোলন। ঘটনা ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বৃহস্পতিবার রাতের করুণাময়ী। তবে পুলিশি ধরপাকড়ের সামনে মাথা নোয়ায়েনি আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার সকালে ফের করুণাময়ীতে নতুন করে জমায়েত করে বিক্ষোভকারীদের একাংশ।