রোগীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত এসএসকেএম হাসপাতাল। রোগীকে বেশ কিছু সময় যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয় বেড নেই। একাধিক হাসপাতাল ঘুরে রোগীর পরিবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে যান। সেখান থেকে চিঠি লিখে রোগীকে ফিরিয়ে আনা হয় এসএসকেএমে। তবে পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তির সময় রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন এবং চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পর ফের প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। যেখানে জুনিয়র ডাক্তাররা বারবার অবকাঠামো, রেফারেল ব্যবস্থা র কথা তুলে ধরেছেন। সেখানে কাজের কোনও অগ্রগতি হয়নি? জানা যায় মৃতের নাম সুশীল হালদার, বছর ৪৮-এর ব্যক্তি। সোমবার হঠাৎ তার নাক-মুখ থেকে রক্তপাত শুরু হয়। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে বেড না থাকায় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও নীলরতন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে সময় নষ্ট হয়। সেখানে ভর্তি না হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে রোগীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যান পরিবার। সেখান থেকে চিঠি লিখে রোগীকে ফিরিয়ে আনা হয় এসএসকেএমে। এত সময় নষ্ট হওয়ার পরে মারা যান রোগী।
এর পরই রোগীর পরিবার এসএসকেএম চত্ত্বরে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তবে সূত্রের খবর, রোগীকে রুটিন সার্জারির জন্য বাইরে পাঠানো হয়েছে। এরপর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। এতে রোগীর পরিবার খুবই ক্ষুব্ধ। ক্যামেরার সামনে তারা শুধু বলেছে, "কিছুই করা হয়নি। কেউ কিছু করেনি। মুখ্যমন্ত্রী চিঠিটা ঠিক লিখেছেন। এখন শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।" ডাঃ সুবর্ণা গোস্বামী বলেন, "এই দাবিগুলো নিত্যদিনের। জুনিয়র ডাক্তাররা এটাই তুলে ধরেছেন। এটা প্রমাণ যে এখনও কিছুই সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার।"