
Kolkata: শোভাবাজার ফেরিঘাটে বিপুল পরিমাণ চারসসহ দুই যুবক ধৃত। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছিল, কেউ বা কারা হিমাচল প্রদেশ থেকে পাচার করে মাদকদ্রব্য 'চারস' কলকাতায় আনছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে শোভাবাজার ফেরিঘাটের পাশে স্ট্যান্ড ব্যাংক রোডে দু'জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫৫০ গ্রাম চারস উদ্ধার করা হয়েছে, যার কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা তারা দিতে পারেনি। ঘটনাস্থলেই পুলিশ তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করে এবং গোটা প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস (NDPS) আইনে মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম হল শিব শঙ্কর ওঝা (৪০)। অর্পণ মল্লিক (২৭)। পুলিশ জানিয়েছে, মাদক পাচারের চক্র ভাঙতে আরও তদন্ত চলছে এবং এই গ্রেফতারের সঙ্গে মাদকচক্রের বড়সড় যোগ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কোচবিহারে শুট আউট, গুলিবিদ্ধ কোচবিহার ২নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার ২নং ব্লকের সাধারণ সম্পাদক রাজু দে। বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় কাজ ছেড়ে বাড়ি ফেরার পথে চকচকা এলাকায় নিজের বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন এই তৃণমূল নেতা।
জানা গিয়েছে, একদল দুষ্কৃতী চার চাকার কালো গাড়িতে চেপে এসে তার বাড়ির সামনেই তার ওপর গুলি চালায়। তার ডান হাতে গুলি লাগে বলে জানা যায়। এরপরই তড়িঘড়ি তাকে ভর্তি করা হয় কোচবিহার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এখানেই অস্ত্রপ্রচার হয়েছে তার। এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। ইতিমধ্যেই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে কোচবিহার পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে যুক্ত দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়।
এদিকে, এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথর প্রতিমা ব্লকের বিডিও অফিসের ঢিলছড়া দূরত্বে সকাল থেকে রাস্তার উপরে ম্যাজিক গাড়ি এবং ইঞ্জিন ভ্যান রেখে পথ অবরোধ অবরোধ। আটকে পড়লেন রামগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে ইঞ্জিনভ্যান এবং ম্যাজিক গাড়ি রামগঙ্গা থেকে মিলন মোড় যাতায়াত করে। বর্তমানে দু'বছর টোটো চলাচল শুরু হওয়ায় তাদের পেটের ভাত হচ্ছে না এবং পরিবারের লোকজন খেতে পারছে না এমনই অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। বিগত কয়েক মাস আগে একই সমস্যা হয়েছিল শেষমেষ প্রশাসনের নেতৃত্বে ঠিক হয়েছিল কে কোন রোডে চলবে। এবং তাদের রোড নির্ধারিত করা হয়েছিল।
বিক্ষোভকারীদের দাবি হঠাৎবৃহস্পতিবার থেকে টোটো ইউনিয়নের লোকজন ঘোষণা করে দেন রামগঙ্গা থেকে হাসপাতাল মোড় সরাসরি টোটো চলাচল করবে। তার ফলে তারপরে শতাধীক ম্যাজিক এবং ইঞ্জিন ভ্যানচালক রাস্তার উপরে শুয়ে পড়ে, বুকে হাত দিয়ে আঘাত করতে করতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এখনো চলছে বিক্ষোভ, পড়েছে প্রায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক এর গাড়ি এবং অন্যান্য যানবাহন। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে দাবি বিক্ষোপকারীদের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।