রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হাওয়া অফিস। তবে আশার কথা এই যে আগামীকালের মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
সপ্তাহের শুরুতেও স্বস্তি নেই। সোমবার সকাল থেকে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই আজও। তাপমাত্রা গতকালের তুলনায় সামান্য কমলেও ভ্যাপসা আবহাওয়ায় নাজেহাল রাজ্যবাসী। এদিনও ভোর থেকেই গরমের প্রভাব বোঝা যেতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়তে পারে গরম। চলতি সপ্তাহ জুড়েই সম্ভাবনা নেই বৃষ্টির। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, পশ্চিমের শুষ্ক বায়ু এই রাজ্যে প্রবেশ করছে। তার কারণেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি নতুন করে তৈরি হয়েছে। সেই কারণে গোটা রাজ্যেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হাওয়া অফিস। তবে আশার কথা এই যে আগামীকালের মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে সপ্তাহের প্রথম দিনেই।
৫ জুন, সোমবারও ৪০ ছুঁই ছুঁই শহরের তাপমাত্রা। সকাল থেকেই আংশিক মেঘলা আকাশ। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আজ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সকাল থেকেই আকাশেবিক্ষিপ্তভাবে মেঘ থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান ৮৬ শতাংশ।
শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার এক বা দুটি জায়গায় তাপপ্রবাহের অবস্থা বিরাজ করতে পারে। বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের পরিস্থিতি খারাপ থাকবে। কি জেলার দু-এক জায়গায় আর্দ্র ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। চলতি বছর এপ্রিল মাসে গোটা বঙ্গেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এবার আবারও নতুন করে রাজ্যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সঙ্গে আর্দ্রতা ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় কষ্ট আরও বাড়ছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, তাপমাত্রার পারদ আরও চড়বে। তাপমাত্রা অসহনীয় হবে। যা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে উদ্বেগজনক। শিশু , বয়স্ক ও দুর্বল মানুষকে দীর্ঘ সময় বাড়ির বাইরে না থাকার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি ভারী কাজ না করলেও পরামর্শ দিয়েছে।