
West Bengal Assembly: গত কয়েকদিন ধরে হিন্দু-মুসলিম বিতর্কে সরগরম বিধানসভা (West Bengal Assembly) ও রাজ্য রাজনীতি। একদিকে বিধানসভার বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), বিধানসভার ভিতরে শঙ্কর ঘোষ-সহ বিজেপি বিধায়করা, অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। রাজ্য রাজনীতিতে এখন প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে ধর্ম। শুভেন্দুকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শঙ্করের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার হুমায়ুনকে শো-কজ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশ দেন তিনি। হুমায়ুনের পাশাপাশি বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সিদ্দিকুল্লাকে ভবিষ্যতে আর বিতর্কিত মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কেন হুমায়ুনকে শো-কজ?
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রসকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘আর ১০ মাস। ওদের মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলব।’ তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করে হুমায়ুন বলেন, 'ঠুসে দেব।' তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে আমার জাতি দলের চেয়ে বড়।’ শুভেন্দুকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভরতপুর থেকে প্রার্থী হওয়ার চ্যালেঞ্জও করেন হুমায়ুন। তিনি দাবি করেন, ভরতপুরে শুভেন্দুকে ৩০,০০০ ভোটে হারাবেন। এর আগে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন হুমায়ুন। তাঁকে শো-কজও করা হয়। তবে দুঃখ প্রকাশ করে বা ক্ষমা চেয়ে ছাড় পেয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বলেছেন, দলের কাউকে তিন বার শো-কজ করা হলে সাসপেন্ড বা বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের এক বিধায়কের বিরুদ্ধে কি কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
দোলের আগে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি
শুক্রবার রাজ্যজুড়ে পালিত হবে দোল উৎসব। কিন্তু তার আগে ধর্ম নিয়ে সরগরম রাজনীতি। বিভিন্ন দলের নেতারা ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই এই বিতর্ক বাড়বে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।