'ক্রাইম সিনটা যেন...',নির্যাতিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশকে গোপনে কি 'নির্দেশ' দিয়েছিলেন সন্দীপ?
আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুমে কী ঘটেছিল ৯ই অগস্ট ভোররাতে? কে বা কারা নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করল ৩১ বছরের ওই চিকিৎসক তরুণীকে? এই প্রশ্নের উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছে সিবিআই। এৎই মধ্যে সামনে এল নয়া তথ্য।
অগস্ট পেরিয়ে সেপ্টেম্বর…২৪ দিন পরেও অধরা সমাধানসূত্র। আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুমে কী ঘটেছিল ৯ই অগস্ট ভোররাতে? কে বা কারা নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করল ৩১ বছরের ওই চিকিৎসক তরুণীকে?
সব প্রশ্নের উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছে সিবিআই। ৫ই সেপ্টেম্বর সুপ্রিম শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। কী হতে চলেছে, জানতে আগ্রহী সবাই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছেন, থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই তিনি তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন।
গত ৯ই অগস্ট মৃতদেহ উদ্ধারের দিন সকাল ১০ টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি এই খবর পান, যেখানে টালা থানায় জেনারেল ডায়েরি ১০ মিনিট আগেই রুজু হয়েছিল।
সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে সন্দীপ জানিয়ে ছিলেন, সকাল ১০ টায় তাঁকে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুমিত রায় তরফদার ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি তখন বাথরুমে থাকায় ফোনটি ধরতে পারেননি।
পরে ১০ টা ২০ মিনিট নাগাদ সুপ্রিয়কে ফোন করে তিনি মৃত্যুর খবর পান। এরপর তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন এবং সকাল ১১ টায় হাসপাতালে পৌঁছান।
সন্দীপ দাবি করেছেন, তিনি টালা থানার ওসিকে বারবার ফোন করে ক্রাইম সিন যেন সুরক্ষিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
তবে অভিযোগ উঠেছে যে, ঘটনাস্থলে আরজি কর হাসপাতালের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকজন 'ঘনিষ্ঠ' ব্যক্তি প্রবেশ করেছিলেন।