মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, যুব প্রজন্ম না এগিয়ে আসলে রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন মানুষ। উদাহরণ হিসেবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দেবাংশু ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষের মতো তরুণ নেতা-নেত্রীর টিকিট পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
এই মুহূর্তে লোকসভা ভোট নিয়ে বেজায় ব্যস্ত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল উত্তরবঙ্গে সভা করেছেন তিনি। আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত প্রত্যেকটি দল। তারই মাঝে সংবাদমাধ্যমের সামনে বসে খোলসা করলেন ভবিষ্যতের রূপরেখা। জানালেন তাঁর পরে কে বসবে তৃণমূল কংগ্রেসের মাথায়। জানিয়ে দিলেন সেই নাম।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রাজনীতিতে যুব প্রজন্মের খুব প্রয়োজন। যুব প্রজন্ম না এগিয়ে আসলে রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন মানুষ। উদাহরণ হিসেবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দেবাংশু ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষের মতো তরুণ নেতা-নেত্রীর টিকিট পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন যত বেশি পরিমাণে তারা এগিয়ে আসবে, তত মানুষের উপকার হবে। দুর্নীতি কমবে।
এরপরেই উঠে আসে তাঁর পরে দলের ব্যাটন কে ধরবে সেই প্রসঙ্গ। এই ইস্যুতে অবধারিতভাবেই যার নাম উঠে আসে, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেকথা মানতে চাননি খোদ মমতা। যদিও এই সাক্ষাতকারে তাঁর গলায় অভিষেকের ছোটবেলার প্রসঙ্গ উঠে আসে।
তিনি বলেন ছোট থেকেই ভাইপোকে তৈরি করেছেন। পাশাপাশি এও জানালেন, খুব কম বয়সেই রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি হয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মঙ্গলবার এক জনপ্রিয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে অভিষেকের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হয়। অভিষেক তাঁর উত্তরসূরি কিনা প্রশ্ন করায় মমতা বলেন, ‘এটা দল ঠিক করবে। ও দলের একজন ডেডিকেটেড সৈনিক’।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘ছোট থেকে ওঁকে তৈরি করেছি। হাজরায় আমায় যখন সিপিএম মেরেছিল, সেই সময় ওঁর মাত্র আড়াই বছর বয়স। সেই সময় থেকেই ও হাতে একটা পতাকা নিয়ে বলতো দিদিকে মারলে কেন? সিপিএম তুমি জবাব দাও। তখন থেকেই ওঁর পলিটিক্যাল মাইন্ডটা তৈরি হয়ে গিয়েছে। কলেজ পাশ করার পর থেকে ও সক্রিয় রাজনীতি করে’।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।