'সবচেয়ে দুঃখ লাগে..' ঠিক ভোটের মুখে কেন হতাশ মমতা! কী দুঃখপ্রকাশ করলেন সবার সামনে

বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষার ফল বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছে রাজ্যে। তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সত্যিটা জানা যাবে ভোটের ফলপ্রকাশের দিন। তবে তার আগেই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাতই দুঃখপ্রকাশ করে ফেললেন তিনি!

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। আগামী শুক্রবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একাধিক বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

নানান কথার মাঝে উঠে আসে আরএসএসের প্রসঙ্গ। তখনই আক্ষেপের সুর শোনা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায়। অতীতে একাধিকবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে মমতার ‘সখ্যতা’ নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে বাম-কংগ্রেসকে। বছর খানেক আগে অবধিও আরএসএসের বিষয়ে খানিক নরম সুরে কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী।

বিজেপিকে আক্রমণ করার সময় যেমন একবার বলেছিলেন, ‘আমি মানি না আরএসএস এতটা খারাপ’। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে বদলে গেল সেই চিত্র!

সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সবচেয়ে দুঃখ লাগে, যখন ইন্ধিরা গান্ধীকে আরএসএস সমর্থন করেছিল, আমি ভেবেছিলাম এঁদের মধ্যে কিছুটা হলেও নরম মনোভাব থাকতে পারে। তবে এখন সেটা ফুরিয়ে গিয়েছে’।

যদিও এই প্রথম নয়, চলতি বছর সন্দেশখালি কাণ্ডের পরেই আরএসএস প্রসঙ্গে মমতাকে অবস্থান বদলাতে দেখা গিয়েছিল। নরম সুর ছেড়ে রীতিমতো নিশানা করেছিলেন সংঘকে। বিধানসভায় বলেছিলেন, ‘এই সন্দেশখালি আরএসএসের শক্ত ঘাঁটি’।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ সম্বন্ধে তৃণমূল নেত্রীর মুখ থেকে এহেন মন্তব্য শুনে সেই সময় অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। এবার লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার এই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। আরএসএসের মাধুর্য্য হারিয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ধারা। মঙ্গলবার যেমন ময়নাগুড়ির সভা থেকে গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ‘বিজেপি পকেটমারের দল’, ‘সবচেয়ে বড় চোর’ বলে সুর চড়ান তিনি। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল তাঁকে।