বিচ্ছিন্ন ৩ টি ওয়ার্ড, সেতুর উপর নদী - বিপদ আরও বাড়ার আশঙ্কায় কাঁপছে পূর্ব বর্ধমান

Published : Jun 19, 2021, 05:26 PM IST
বিচ্ছিন্ন ৩ টি ওয়ার্ড, সেতুর উপর নদী - বিপদ আরও বাড়ার আশঙ্কায় কাঁপছে পূর্ব বর্ধমান

সংক্ষিপ্ত

নদীর তলায় গিয়েছে সেতু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তিনটি ওয়ার্ডের ধানিজমিতেও ঢুকছে জল বিপদের আশঙ্কায় কাঁপছে পূর্ব বর্ধমান  

নিম্নচাপ ও দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর জোড়া প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি চলছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আর তাতেই বিপদ বাড়ছে পূর্ব বর্ধমানে। শনিবারই উপচে গিয়েছে কুনুর নদী। জল উঠে বানভাসি অবস্থা গুসকরা পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তিন-তিনটি ওয়ার্ড। সমস্যায় বেশ কিছু গ্রামও। তবে, আগামী কেক দিনে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পৌরসভা এলাকার বেশ কিছু অংশ ইতিমধ্যেই কুনুর নদী উপচে ওঠা জলের তলায় চলে গিয়েছে। 'মেলবন্ধন সেতু'র উপর দিয়েও বইছে নদীর জল। এরই ফলে গুসকরা শহরের বাকি সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের।

পাশাপাশি উক্তা পিচকুড়ি,পরশুরাম,কাঁটাটিকুড়ি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে গুসকার যোগাযোগও রক্ষা করে এই মেলবন্ধন সেতু। সেতুটি আপাতত জলের নিচে থাকায় এইসব গ্রামের বাসিন্দারা দারুণ সমস্যায় পড়েছেন। সেতু-যোগাযোগ না থাকায় আপাতত তাদের অনেকটা ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

একইসঙ্গে, গুসকরা শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিহারীপট্টি ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিবতলা এলাকাতেও কুনুর নদীর জল ঢুকেছে। জল ঢুকে গিয়েছে আউশগ্রামের ধানি-জমিতেও। বর্তমানে, ওইসব জমিতে আমন ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরির কাজ চলছিল। কিন্তু এলাকার কয়েকশো বিঘে জমি আপাতত জলের তলায়। রাস্তার কুনুর নদীর স্রোত বয়ে যাচ্ছে।

এর পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের সিকাটিয়া জলাধার থেকে শুক্রবার থেকেই জল ছাড়া শুরু হয়েছে। তাই জল বাড়ছে অজয় নদের। ডিভিসি-র প থেকেও জল ছাড়া হচ্ছে। তাই জল বাড়ছে দামোদর নদেও। এখনও পর্যন্ত অজয় বা দামোদর নদী ছাপিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হলেও, এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েকদিনে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা দেখা দিতেই পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?