আচমকাই স্বামীর মৃত্যুতে আকাশ ভেঙে পড়েছে স্ত্রীর মাথায়। সরকারি সাহাস্যের আশায় দিন গুণছে গোটা পরিবার।
তৃনাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল, চোখের জল যেন শুকিয়ে এসেছে দিনু রুই দাসের স্ত্রী এর। কোলে ছোট্ট শিশুকে নিয়ে বারবারই একই কথা বলছেন " ও আমাকে মঙ্গল বার বাপের বাড়ির দিয়ে গেছিল বলেছিল রবিবারে নিয়ে যাবে।কিন্তু তারপর আর এল না" । কিন্তু কি ভাবে মৃত্যু হল স্বামীর তা জানেন না স্ত্রী। মৃত্যুর কারণ জানেন না দিনু এর মাও। কিন্তু পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে যথেষ্টই সমস্যার মধ্যে পড়েছে দিনুর মা আর স্ত্রী। একই ঘরই তাঁদের গোটা পরিবারের সম্বল। ছয় বাই চার ফুট ঘরেকোনও রকমে থাকতে হচ্ছে পরিবারের সাত সদস্যকে। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছেলের মৃত্যু তে সংসার কি ভাবে চলবে , সে প্রশ্ন ই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। বৃষ্টি হলেই যে কোনো সময়ে বিপদ হবে। জোটেনি ত্রাণের একটা ত্রিপলও। সাত জনের সংসারে বাড়ির লোকেদের বৃষ্টিতে চলে যেতে হয় অন্য লোকের বাড়িতে।
যদিও খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য শ্যাম সরেন। তিনি জানান রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন দিনু। গত শনিবার ভয়াবহ বৃষ্টির সময়ে বাজ পরে মৃত্যু হয়েছে তার। আহত হয়েছেন আরো 3 জন। জানানো হয়েছে প্রশাসন কে। কাগজ পত্র তৈরি হচ্ছে। সরকার এর কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়েছেন। মাত্র কয়েকদিন আগে উক্ত এলাকার অদূরেই বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছিল বাড়ি। মৃত্য হয়েছিল এক শিশুর। তাদের আপাতত ত্রিপল আর ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
গোগরা পোস্টে রণেভঙ্গ দিল চিন, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারতের মুকুটে সাফল্যের পালক
সাবধান আপনার আদরের বাচ্চাকে সিন্থেটিক দুধ দিচ্ছেন নাতো, জেনে নিন খাঁটি দুধ চেনার সহজ উপায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতার 'ম্যান মেড বন্যা'র অভিযোগ খারিজ, বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কী বলল DVC
ঘটনার পর ই আতঙ্কিত আসানসোলের বন সরাগ ঢিহির মাঝি পারা। বৃষ্টির ভ্রুকুটি রয়েছে আজও। বাড়ির বাইরে দুয়ারে রয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। বলছেন বৃষ্টি যদি হয়। যদি বাজে পরে। বৃষ্টি হলেই তো ছাদ থেকে জল পরে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে ঘর বাড়ি। কিছু ই তো জোটে নি। রেশন কার্ড, বাড়ি কিছু ই নয়। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে বেঁচে থাকাই এখন দায়। দিনু চলে গেছে। দিনুর বউ এর ছোট ছোট চারটি মেয়ে। বাবার অবর্তমানে তাঁদের কী করে বড় করবেন স্ত্রী সেইটাই এখন মূল চিন্তার বিষয়।