মিঠু সাহা, শিলিগুড়ি: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকে পড়েছে রাজ্যে। বর্ষা তো প্রায় চলেই এল। ফের ধস নামল দার্জিলিং পাহাড়ের একাধিক জায়গায়। রাস্তায় ভেঙে পড়েছে গাছ, ক্ষতি হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িরও। তবে প্রাণহানির খরব পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তিতে 'খুন', বাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূ ও শিশুকন্যার রক্তাক্ত দেহ
পাহাড়ে কোলে যখন অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ে, তখন মুগ্ধ হয়ে যান পর্যটকরা। বর্ষাকালে দার্জিলিং-এ ধসের আতঙ্ক কিন্তু কম নয়। বছরভরই বিপদের আশঙ্কা থাকে। তবে বৃষ্টি পড়লে ধসের নামার সম্ভাবনা আরও বাড়ে, ঘটে প্রাণহানিও। মাস দুয়েক আগে ঠিক যেমনটা ঘটেছিল কালিম্পং-এ রিম্বিকে। পাহাড়ি এলাকায় বাড়িতে ঝর্ণার জল ধরে রাখেন অনেকেই। গভীর রাতে জল পাইপ ফেটে ধস নেমেছিল স্থানীয় লোধামায় এলাকায়। মাটি চাপা পড়ে প্রাণ হারান একই পরিবারের তিনজন। মৃতের মধ্যে শিশুও ছিল।
আরও পড়ুন: সামাজিক দূরত্ব মেনে বনদেবীর পুজো, গরুমারা অভয়ারণ্যে চলল 'প্রকৃতির আরাধনা'
উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই ভারী বৃষ্টি পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবার বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় দার্জিলিং-এ, চলে শনিবার সকাল পর্যন্ত। রাতভর বৃষ্টিতে শৈলশহরের একাধিক জায়গায় ধস নামে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। ধসের কারণে বেশ কয়েকটি রাস্তাও সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা এদিকে শনিবার সকালে আবার ধস নামে খাস কলকাতায়। আচমকাই বসে যায় সায়েন্টসিটি লাগোয়া রাস্তায় একাংশ। দুর্ঘটনা এড়াতে আপাতত এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।