সামাজিক দূরত্ব মেনে বনদেবীর পুজো, গরুমারা অভয়ারণ্যে চলল 'প্রকৃতির আরাধনা'

  • করোনা আতঙ্কেও ঐতিহ্যের সঙ্গে আপস নয়
  • সামাজিক দূরত্ব মেনে বনদেবীর পুজোর আয়োজন
  • প্রকৃতির আরাধনায় মাতলেন বনবস্তির বাসিন্দারা
  • গরুমারা অভয়ারণ্য়ের ঘটনা
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 13, 2020 12:47 PM IST / Updated: Jun 13 2020, 06:21 PM IST

উত্তমা চক্রবর্তী,জলপাইগুড়ি: করোনা আতঙ্কে বদলে গিয়েছে জীবন। কিন্তু শিকড়ের টান কি আর এত সহজে ভোলা যায়! সামাজিক দূরত্ব মেনে এবছরও জঙ্গলে 'প্রকৃতি পুজো' আয়োজন করলেন গরুমারা অভয়ারণ্য লাগোয়া বনবস্তির বাসিন্দারা। অসময়ে পুজো পেলেন শিব, দুর্গা, কালী ও সরস্বতীও।

আরও পড়ুন: খুলে গেল দক্ষিণেশ্বর মন্দির, ১৫ জুন খুলবে বেলুড়ও

একশোর বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। গরুমারা অভয়ারণ্যের বনবস্তিতে এখন যাঁরা থাকেন, তাঁদের পূর্বপুরুষরা ওড়িশার দণ্ডকারণ্য থেকে চলে এসেছিলেন ডুয়ার্সে। স্থানীয় বাসিন্দা মঙ্গল কোড়া জানালেন,  'প্রকৃতিতে তুষ্ট রাখতে দণ্ডাকারণ্যে আমাদের পূর্ব পুরুষরা বনদেবী ও মহাকালের পুজো করতেন।' সেই রেওয়াজে ছেদ পড়েনি আজও।  প্রতি বছর নির্দিষ্ট দিনে গরুমারা অভয়ারণ্যের গভীর জঙ্গলে পুজো-পাঠ করেন বনবস্তির বাসিন্দারা। তিন বছর অন্তর ছাগল, দুই বছর অন্তর রঙিন মুরগি বলি দেওয়া হয়। পুজো শেষে মাংস রান্না করে চলে ভুরিভোজ। 

আরও পড়ুন: তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল তিনতলা বাড়ি, দেখুন ভিডিও

কোন মন্ত্রে আরাধনা বনদেবীর আরাধনা করা হয়? সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি বনবস্তির বাসিন্দারা। স্থানীয় বিছাভাঙা যৌথ বন পরিচালন কমিটির সভাপতি সুবল পাইক জানালেন, 'আমরা জঙ্গলে থাকি। পুজো না করে জমিতে বীজ পোঁতা বা চারা লাগানো যায় না। সকলের সুখ-শান্তির জন্য ও হাতি বা মহাকালকে তুষ্ট রাখতে এই পুজোর আয়োজন করা হয়।' শুধু তাই নয়, আলাদা থানে বা জায়গায় পুজো করা হয় শিব, দুর্গা, কালী ও সরস্বতীরও। 

 

Share this article
click me!