আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। গ্রামে ফিরলেন তিনি, আর কখনও যাবেন না যুদ্ধক্ষেত্রে। লাদাখে শহিদ রাজেশ ওঁরাও-কে চোখের জলে বিদায় জানালেন আত্মীয়-পরিজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা। রীতিমাফিক শেষকৃত্য নয়, শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর বাড়ির কাছে সমাধিস্থ করা হল বীর সেনানিকে।
আরও পড়ুন: চিনা প্রেসিডেন্টের 'শ্রাদ্ধানুষ্ঠান', লাদাখে হামলার প্রতিবাদে চড়ছে ক্ষোভের পারদ
প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবারই। হাত হাতে উড়ছিল জাতীয় পতাকা। বীরভূমের মহম্মদবাজারে বেলেগড়িয়া গ্রামে মানুষে মানুষে ছয়লাপ। উদ্দেশ্য একটাই, লাদাখে শহিদকে শেষশ্রদ্ধা জানানো। কিন্তু অপেক্ষাই সার, শেষপর্যন্ত দেহ ফিরল না রাজেশ ওঁরা-এর। ছবি বদলায়নি শুক্রবারও।
ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ন'টা। পানাগড়ের সেনাঘাঁটি থেকে শববাহী শকটে শহিদ রাজেশ ওঁরা-এর দেহ পৌঁছল। গ্রামে তখন কার্যত জনসমুদ্র। এরপর ফুল-মালায় চলল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্ব। প্রয়াত সহকর্মীকে গ্যান স্যালুট দেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। ছেলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন মা মমতা ওরাং। কার্যত কোনও কথাই বলতে পারছিলেন না। তাঁকে আগলে রাখতে হচ্ছিল। তবে শুক্রবার এত মানুষের ভিড়ে আর চোখের জল বাঁধ মানল না। চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন প্রতিবেশীরা। বদলার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরা। কেউ কেউ বলছেন, রাজেশের স্মৃতিতে গ্রামে একটি স্কুল করা হোক কিংবা রাস্তায় নাম হোক শহিদের নামে।
আরও পড়ুন: পালা বদল হলেই 'বদলা' নেবে বিজেপি, ফেসবুকে হুঁশিয়ারি দিলীপের
এদিন রাজ্য সরকারের তরফে শহিদের পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকা চেক তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি প্রতিশ্রুতিও দেন তাঁরা।