ব্যবধান মাত্র একদিনের। কোয়ারেন্টাইন তৈরি করা কেন্দ্র করে ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আসানসোল। পুলিশ ও জনতার খণ্ডযুদ্ধ বাঁধল জামুড়িয়ায়। বিক্ষোভকারীরা গুলি ও বোমা ছোঁড়ে বলেও অভিযোগ। আহত হয়েছেন ২০ জন পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন: টলিউডের অভিনেত্রী-সাংসদের বাবার করোনা পজিটিভ, দ্বিতীয় রিপোর্টের অপেক্ষাজামুড়িয়ার চুরুলিয়া এলাকায় যুব আবাসনের ভবনে কোয়ারেটাইন্টন সেন্টার তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে না তো? আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। আতঙ্ক এতটাই যে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাঁদের রাখা হয়েছে, তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে এলাকায় জমায়েত করেন কয়েক হাজার মানুষ। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। কথা কাটাকাটি, বচসা, শেষে দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি! এরপর আচমকাই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়, এমনকী, বিক্ষোভকারীরা গুলি ও বোমা ছোঁড়ে বলেও অভিযোগ। ভাঙচুর চলে পুলিশের ৫টি জিপ-সহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ও বাইকেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল পাঠান পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় শেষপর্যন্ত পুলিশকর্মীরা শূন্যে গুলি ছোঁড়েন বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে জামুড়িয়া থানার ওসি, তিনজন মহিলা কনস্টেবল-সহ ২০ জন পুলিশকর্মী আহত হন। দু'জনকে ভর্তি আসানসোল জেলা হাসপাতালে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এলাকায় নিম্নমানের চাল 'বিলি' তৃণমূল কাউন্সিলরের, ধুন্ধুমারকাণ্ড রায়গঞ্জেআরও পড়ুন: লকডাউন নিয়ে ক্ষোভ, অস্থায়ী শিবিরে সরকারি খাবার প্রত্যাখান পরিযায়ী শ্রমিকদেরজানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে আসানসোল থেকে জামুড়িয়ার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে চলে এসেছিলেন একজন ডাক্তার। ছিলেন ২৭ জন সন্দেহভাজন রোগীও। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খাবার সরবরাহ করার দেওয়া হয় এলাকারই একজনকে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি তোলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। এর আগে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা নিয়ে সোমবার দফায় দফায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ চলে আসানসোলের সালানপুরেও।