কোথাও পথ অবরোধ, তো আবার কোথাও রেল অবরোধ। রাস্তায় জ্বলল টাওয়া, পুড়ল বাস। নাগরিকত্ব আইনে প্রতিবাদে শনিবার দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ-বিক্ষোভ অব্যাহত। বিপর্যস্ত জনজীবন। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। বন্ধ যান চলাচল।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ, শিয়ালদা শাখায় বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচল
বিলে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এখন আইনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাতে কি! বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে বাংলায়। শনিবার সকালে হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে-এর গরিফা এলাকায় প্রথম বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় কয়েকটি মুসলিম সংগঠনের সদস্যরা। রাস্তার জ্বালানো হয় একের পর এক টাওয়ার। চোখের নিমেষে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে কোনা এক্সপ্রেসের লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায়। ছয়টি বাসে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। শুরু হয়ে যায় অবরোধও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা পাথর বৃষ্টি করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। অবরোধ তুলতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশও। সকালের দিকে বিক্ষোভের মাঝেই ধীরগতিতে গাড়ি চলছিল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে-তে। কিন্তু বেলার গড়াতেই গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। ঘণ্টা দেড়েক অবরোধ চলে ডোমজুড়ে সলপ মোড়েও। সাঁতরাগাছি স্টেশনে বিক্ষোভে কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছে একাধিক ট্রেনও।
আরও পড়ুন: ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে উত্তর-পূর্ব, আন্দোলন রাজধানীর পথে
শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের সুতিতেও যাত্রীদের নামিয়ে ভাঙচুর চলে তিন বাসে। ভাঙচুরের বাসগুলিতে আবার আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। রঘুনাথঞ্জেও পথ অবরোধ করেন বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ হয় উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙায়, চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কে। হাসনাবাদে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রেহাই পাননি রেলযাত্রীরা। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি স্টেশনে চলে ভাঙচুর, রেল অবরোধ করা হয় বিভিন্ন জায়গায়।