চালকের এক হাতে স্টিয়ারিং, আর অন্য হাতে মোবাইল। বেপরোয়া লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল পথচারীর। ঘটনার পর রীতিমতো ধাওয়া করে ঘাতক লরিটিকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেধড়ক মারধর করা হয় চালককে, ভাঙচুর চলে লরিটিতেও। উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। ঘাতক লরির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃতের নাম সামাদ মণ্ডল। বাড়ি, চন্দ্রকোনা টাউন থানার ইন্দা গ্রামে। বুধবার দুপুরে স্থানীয় সন্ধিপুর হাট থেকে টোটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সামাদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধিপুর থেকে কিছুটা দুরে একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি টোটাটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। এতটাই জোরে ধাক্কা লাগে যে, টোটো থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান সামাদ। তখন দ্রুতগতিতে লরিটিকে তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান সামাদ মণ্ডল। এরপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ঘাতক লরিটির পিছনে ধাওয়া করে স্থানীয় বাসিন্দারা। একসময়ে লরিটিকে ধরেও ফেলেন তাঁরা। লরিতে ভাঙচুর করাই শুধু নয়, চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, লরির চালানো সময়ে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত ছিলেন চালক। এক হাতে স্টিংয়ারিং ধরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, লরিটি গতি অত্যন্ত বেশি ছিল। শেষপর্যন্ত আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি লরির চালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশ। অভিযুক্ত লরি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: জ্বলন্ত পাটকাঠির গাদায় মিলল গৃহবধূ ও প্রতিবেশীর যুবকের দেহ, চাঞ্চল্য বনগাঁয়
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই কাকভোরে ফরাক্কায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান ৬ জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে যাত্রীদের বহরমপুরে দিয়ে যাচ্ছিল এক বাস। আর ট্যাঙ্কারটি আসছিল উল্টোপথে। ফরাক্কায় এনসিপি মোড় আর বল্লালপুরে মাঝে খয়রাকাদি এলাকায় বাস ও ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বাসের জানলা দিয়ে কোনওমতে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।