ইতিমধ্যেই তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে মঙ্গলবার রাতে যারা লুটপাট চালায় তাদের মধ্যে এএসআই পদমর্যাদার এক অফিসারও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ডাকাত ধরা যাদের কাজ, তারাই এবার চালালেন লুটপাট। খানা তল্লাশির নামে লেবার কমিশনারের বাড়িতে ঢুকে নির্বিচারে লুটপাট চালাল খোদ পুলিশ(Malda robbery by Police)। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার (Malda Kaliachak Police station) একদল পুলিশ ৫২ বিঘা এলাকায়। যা নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এদিকে পুলিশ কী করে এই কাজ করতে পারে সেই প্রশ্নই তুলছেন সকলে। অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে মালদহের কালিয়াচক থানার একদল পুলিশ কর্মী ৫২ বিঘা এলাকার লেবার কমিশনার মহম্মদ এসরাউলের বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালায় (Malda robbery)। লেবার কমিশনারের অভিযোগ, প্রায় ৩৪ ভরি সোনা ও বাড়িতে লেবারদের পাওনা টাকা বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা লুট করে পুলিশ। তাঁর অভিযোগ সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় গোটা এলাকায়। এমনকী বুধবার সকালে এই ঘটনা চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় মালদহ জেলা পুলিশ মহলে। জোর চর্চা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
এদিকে ইতিমধ্যেই তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে মঙ্গলবার রাতে যারা লুটপাট চালায় তাদের মধ্যে এএসআই পদমর্যাদার এক অফিসারও রয়েছেন। গোটা ঘটনায় তার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বসেছে তদন্ত কমিটি। গোটা ঘটনাকে ভেঙে বললে এরকম দাঁড়ায়, পুলিশি তল্লাশিতে ওই লেবার কমিশনারের বাড়ি থেকে আনুমানিক নগদ ২৫ লক্ষ টাকা এবং প্রায় ৩০ ভরি সোনা পাওয়া যায়। সরকারি নিয়ম ও আইন মতে তা যদি বেআইনি হয় তবে তা বাজেয়াপ্ত করে শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু এই ক্ষেত্রে এই বিপুল টাকা ও সোনা সরকারিভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে এসরাউলের আরও অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে থানাতে কোনও অভিযোগ না থাকার পরও পুলিশ এহেন কাণ্ড করেছে। ঘটনার পর থেকেই তীব্র আতঙ্কে রয়েছে তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন-স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে খুন স্বামী, ব্যাপক চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়
আরও পড়ুন-এগিয়ে না পিছিয়ে বাংলা তা ঠিক করুক বর্তমান প্রজন্ম, ফের শমীকের নিশানায় মমতা
পাশাপাশি চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকাতেই। ঘটনা প্রসঙ্গে মালদহের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যেহেতু একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে, তাই তাঁকে সাসপেন্ড করে বসিয়ে দিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা দু’জন কনস্টেবলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।” এদিকে এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে মালদহ জেলা পুলিশের কর্তারা। এমতাবস্থায় পুলিশের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত শেষে কী রিপোর্ট আসে এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন-ফের বাড়ল বাংলার কোভিড গ্রাফ, কলকাতায় বাড়ছে মৃত্যু, কী বলছে রাজ্যের করোনা বুলেটিন