সংক্ষিপ্ত
১৮ই জানুয়ারি বড়তোলিয়া গ্রামের অদূরে গঠোরী নদীর পাড়ের পলাশ জঙ্গল থেকে পূর্ণচাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
অপরাধের বাড়বাড়ন্ত যেন ক্রমেই সীমা ছাড়াচ্ছে বাংলার বুকে (Crime in Bengal)। কোথাও পরকীয়ার জেরে খুন, তো কোথাও মায়ের প্রেমিকের হাতে মেয়ের ধর্ষণ (Rape), সীমা ছাড়াচ্ছে অপরাধের বাঁধ। এমতাবস্থায় এবার স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে খুন হলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার বড়তোলিয়া গ্রামে (Purulia Kotshila police station in Baralia village)। দেহ পাওয়া গেল গ্রামের অদূরের জঙ্গলে। মৃতদেহ উদ্ধারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা করল পুলিশ (Murder in Purulia)। গ্রেপ্তার স্ত্রী, স্ত্রীর প্রেমিক সহ ৩ জন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য কোটশিলা থানা এলাকায়। সূত্রের খবর, গ্রামের ওই মহিলার সাথে প্রতিবেশী যুবকের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন থেকেই। স্বামী দীর্ঘদিন থেকে স্ত্রীকে বাধা দিয়েও বাগে আনতে পারেননি। এদিকে প্রেমিকাকে পাওয়ার পথে প্রেমিকার স্বামী কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোয় তাকে প্রেমের রাস্তা থেকে সরানোর পরিকল্পনা করে প্রেমিক।
তৈরি হয় খুনের ছক। এমনকী খুনের পরিকল্পনা করার জন্য এক বন্ধুর সহযোগিতাও নেয় অভিযুক্তরা। পরে সুযোগ বুঝে প্রেমিকের স্বামীকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় খুনি প্রেমিক। পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার বড়তোলিয়া গ্রামের খুনের ঘটনায় এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে কোটশিলা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বড়তোলিয়া গ্রামের পূর্ণ চাঁদ কুমারের স্ত্রী পারুল কুমারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী সঞ্জয় কুমারের। যা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই অশান্তি শুরু হয়েছিল পূর্ণ চাঁদ কুমারের পরিবারে। স্বামী পূর্ণ চাঁদ কুমার স্ত্রী পারুলকে বারবার বুঝিয়েও প্রেমিক সঞ্জয়ের কাছ থেকে সরিয়ে আনতে পারেননি। অন্যদিকে প্রেমিক সঞ্জয় কুমার পারুলকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাই প্রেমিকা পারুল কুমার এবং বন্ধু সৌমেন্দ্র কুমারকে সাথে নিয়ে পূর্ণচাঁদকে খুন করার পরিকল্পনা করে সঞ্জয় কুমার। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত নেমে জানতে পারে গত ১৫ জানুয়ারী পূর্ণ চাঁদ কুমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর সে বাড়ি ফেরেনি।
আরও পড়ুন-ফের বাড়ল বাংলার কোভিড গ্রাফ, কলকাতায় বাড়ছে মৃত্যু, কী বলছে রাজ্যের করোনা বুলেটিন
আরও পড়ুন-এগিয়ে না পিছিয়ে বাংলা তা ঠিক করুক বর্তমান প্রজন্ম, ফের শমীকের নিশানায় মমতা
এরপর ১৮ই জানুয়ারি বড়তোলিয়া গ্রামের অদূরে গঠোরী নদীর পাড়ের পলাশ জঙ্গল থেকে পূর্ণচাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় পুলিশ দেখতে পায় দেহের একাধিক স্থানে রয়েছে ভোজালীর কোপ। এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খুনের কিনারা করে ফেলে পুলিশ। অভিযুক্ত সঞ্জয় কুমার, তার বন্ধু সৌমেন্দ্র কুমার এবং পূর্ণ চাঁদ কুমারের স্ত্রী পারুল কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন তাদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক সঞ্জয় কুমার ও সৌমেন্দ্র কুমারকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজত এবং পূর্ণচাঁদ কুমারের স্ত্রী পারুল কুমার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-পদ্মেই রয়েছেন মুকুল, জোরালো দাবি তাঁর আইনজীবীর, পরবর্তী শুনানি ২৮ জানুয়ারি