
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বেইমানির (Dishonesty) জন্য খেতাব (Should be Awarded) দেওয়া দরকার। রাজীব গান্ধীর (Rajib Gandhi) দৌলতেই তিনি নেত্রী হয়েছিলেন। আজ তিনি কংগ্রেসের (Congress) ভাবধারা জলাঞ্জলি দিয়ে বিজেপিকে(BJP) আড়াল করছেন। ভবানীপুর উপ নির্বাচনের (Bhabanipur Byelection) আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বোমা ছুঁড়লেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি (state Congress President) অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Choudhury)।
আরও পড়ুন-- মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের 'খেলা' আটকে বিড়ি শ্রমিকদের হাতে, উল্টে যেতে পারে ভোটের ফল
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে তার ভাইপো তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিকেও কামান দাগলেন অধীর। শুরুতেই বলেন, এ রাজ্যের মানুষের সঙ্গে মমতা আর মোদী এক সঙ্গে হাত মিলিয়ে খেলা খেলছেন। আর সেই কারণেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় এজেন্সি নোটিস পাঠাতেই উনি (মমতা) সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ভিক্ষা চেয়েছেন ভাইপোর যাতে কিছু না হয়। পাশাপাশি বাংলার রাজনীতি নিয়ে ভবানীপুরের সিট বাঁচাতে 'মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং' হয়ে গিয়েছে।
দিন কয়েক আগে সিপিএম ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন ওই দুই দলের নেতাদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি তলব করে না?। অধীর এই প্রশ্নের জবাবে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন মমতাকে। তিনি বলেন রাজ্যের প্রধান হিসেবে সব ক্ষমতা লাগিয়ে দেখুন মমতা। পারেন যদি আমায় জেলে পাঠিয়ে দেখান।
আরও পড়ুন- শাঁখ কেন তিনবার বাজানো হয় জানেন, রয়েছে অদ্ভুত কারণ
কংগ্রেস সভাপতি আরোও বলেন “তাপস পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে পুরে ছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও কষ্ট হয়নি। যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই ডেকেছে, তখনই মোদীর কাছে গিয়ে ভিক্ষা চেয়েছেন, ভাইপোর যেন কিছু না হয়। ভাইপোকে বাঁচাতে মোহন ভাগবত, রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করির সঙ্গে সেটিং হয়েছে। শুধুমাত্র অমিত শাহের সাথেই সেটিং নেই"।
পাশাপাশি ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন খোদ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী সেই কংগ্রেসকেই আক্রমণ করছেন মমতা বলে মন্তব্য করেন অধীর। তিনি মমতাকে তুলোধোনা করে বলেন বলেন, বিজেপির ঘোষিত এজেন্ডা ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত’ পশ্চিমবঙ্গে চালু করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভারতে ‘সর্বগ্রাসী রাজনীতির’ নতুন মডেল হয়ে উঠছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছে। সেই জন্য কংগ্রেস সৌজন্যতার খাতিরে ভবানীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। এছাড়াও সনিয়া গান্ধী ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন মমতার বিরুদ্ধে। সেই কারণেই তাঁরা প্রার্থী দেননি বলে দাবি বহরমপুরের সাংসদের।
অধীরের ভবানীপুর উপ নির্বাচনের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো কে টার্গেট এর মধ্যেই আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পটভূমির লুকিয়ে আছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। শেষ পর্যন্ত অধীর বনাম তৃণমূল সুপ্রিমোর ঠান্ডা লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে সে দিকে চেয়ে রয়েছে তামাম বাংলা।
"