'কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে, মমতার মন্তব্য উস্কানিমূলক', হাওড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গত দুদিন ধরে ক্রমশই যেনও বেড়ে চলেছে উত্তেজনা। এদিকে গতকাল সকালে প্রথমে গৃহবন্দি এবং পরে হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন সুকান্ত মজুমদার। যদিও সন্ধ্যাতেই জামিন পেয়ে যান। তারপর শনিবার রাতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে রাজভবনে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। ছিলেন সুকান্ত মজুমদারও। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য বিপদজ্জনক জায়গায় পৌছে গিয়েছে। পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করতে যতোটা সক্রিয় ছিল, সেই কাজ হাওড়ায় করলে এই পরিস্থিতি হত না।'
'কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে, মমতার মন্তব্য উস্কানিমূলক', হাওড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গত দুদিন ধরে ক্রমশই যেনও বেড়ে চলেছে উত্তেজনা। এদিকে গতকাল সকালে প্রথমে গৃহবন্দি এবং পরে হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন সুকান্ত মজুমদার। যদিও সন্ধ্যাতেই জামিন পেয়ে যান। তারপর শনিবার রাতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে রাজভবনে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাহুল সিনহা, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য, অগ্নিমিত্রা পাল এবং ছিলেন সুকান্ত মজুমদারও। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য বিপদজ্জনক জায়গায় পৌছে গিয়েছে। পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করতে যতোটা সক্রিয় ছিল, সেই কাজ হাওড়ায় করলে এই পরিস্থিতি হত না।'
সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে, মমতার মন্তব্য উস্কানিমূলক। উনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, তাঁদেরকে বলছেন বিজেপির রাজ্যে গিয়ে আন্দোলন করতে। রাজ্যপালকে বলেছি, মুখ্যমন্ত্রী যাতে এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরুত থাকেন, সেটা দেখতে।' মূলত শনিবার সকালেই নিউটাউনে সুকান্ত মজুমদারের অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে যায় বিধাননগর থানার পুলিশ। সুকান্ত মজুমদার বাইরে আসতেই তাঁকে পুলিশ বাহিনী এবং তার কর্তারা ঘিরে ধরে। শনিবার দুপুর ১২ টা ৫১ মিনিটে সুকান্ত মজুমদার প্রথমে টুটারে জানান,'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমাকে হাউজ অ্যারেস্ট করেছে বাংলার পুলিশ'। তবে সুকান্ত মজুমদার নিজের জায়গায় অনড় থাকায় পুলিশ শেষঅবধি পিছু হঠে। পাশাপাশি সুকান্তর আবাসনের সামনে তার অনুগামীরা তথা বিজেপির কর্মী সমর্থকরা ভীড় বাড়াতে থাকেন। তাই সুকান্তকে পুলিশি বৃত্ত থেকে বের করে এনে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু এরপর হাওড়া যাওয়ার পথেই গ্রেফতার করা হয় সুকান্তকে।
আরও পড়ুন, হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, পুলিশ অগণতান্ত্রিক, অভিযোগ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির
অপরদিকে, বনগাঁয় দলীয় কর্মীসভায় গিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ' রাজ্যকে জেএমবি আলকায়দার হাতে তুলে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।ধর্মীয় কিছু উন্মাদ রাস্তায় নেমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার হাতে হাত দিয়ে বসে আছে। এমন সরকার পশ্চিমবঙ্গ আগে কখনও দেখেনি। ২০০ এর উপরে যাদের আসন, সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী , ধর্মীয় উন্মাদকে হাতজোড় করে বলছেন, আপনারা এরকম করবেন না।' প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত একটি মন্তব্যেই উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। ক্ষোভের আগুন ছড়ায় বাংলাতেও। গত দুদিন ধরে ক্রমশই যেনও বেড়ে চলেছে উত্তেজনা হাওড়ায়। হাওড়ার আওতাধীন উলুবেড়িয়া সাব ডিভিশনে জাতীয় সড়ক এবং রেলওয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় ইতিমধ্য়েই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তবুও যেন সামাল দিয়ে পারা যাচ্ছে না। কারণ তারপরেও একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কথা বললেন সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন, বিক্ষোভের জের ? হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি বদল