Mamata in Nadia: প্রশাসনিক বৈঠকেই মহুয়াকে জোর ধমক মমতার, কেন হঠাৎ রেগে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো

গত কয়েক মাস ধরেই নদীয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের(Trinamool group quarrel) কথা বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে। যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে শীর্ষ নেতৃত্বেও। এই কোন্দল ঠেকাতে এবার সরাসরি শক্ত হাতে আসরে নামতে দেখা গেল খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকে।

Jaydeep Das | Published : Dec 9, 2021 12:05 PM IST

পুরভোটের আগে একাধিক জেলায় দফায় দফায় প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়(Mamata's administrative meeting)। জোর দেওয়া হচ্ছে জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন ও পুর উন্নয়নের দিক গুলিতে। এমতাবস্থায় এবার বুধবার মুর্শিদাবাদ সফরের পর বৃহঃষ্পতিবারই সরাসরি চলে গেলেন নদীয়ায়(Mamata's visit to Nadia)। এদিকে গত কয়েক মাস ধরেই নদীয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের(Trinamool group quarrel) কথা বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে। যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে শীর্ষ নেতৃত্বেও। এই কোন্দল ঠেকাতে এবার সরাসরি শক্ত হাতে আসরে নামতে দেখা গেল খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকে(Trinamool supremo Mamata Banerjee)। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে(Krishnanagar) প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে একেবারে নাম করে সতর্ক করলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। বর্তমানে যা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিনের বৈঠকের মাঝেই মহুয়া মৈত্রের(MP Mahua Maitra) নাম করেই মমতাকে বলতে শোনা যায়,মহুয়া আমি একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। কে কার পক্ষে বিপক্ষে দেখার আমার দরকার নেই। সকলকে নিয়েই চলতে হবে। দল কাকে প্রার্থী করবে সেটা দলের ভাবনা। কাজ করে যেতে হবে সকলকেই। এটা মাথায় রাখা উচিত। কে কার পক্ষে-বিপক্ষে দেখার দরকার নেই। সাজিয়ে-গুছিয়ে লোক পাঠিয়ে ইউটিউবে বা ডিজিট্যালে দিয়ে দিলাম! এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে চিরদিন নয়। যখন নির্বাচন হবে, তখন দল ঠিক করবে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কে নয়। সুতরাং এখানে কোন মতপার্থক্য রাখা উচিৎ নয়।"

আরও পড়ুন-নিম্নচাপের ভ্রকূটি কেটে সূর্যের দেখা মিলতেই জমা জলে ফসলের পচন শুরু, মাথায় হাত কৃষকদের

এদিকে মহুয়াকে বকাঝকা করেই থেমে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নদিয়া উত্তর জেলা তৃণমূলের সভাপতি জয়ন্ত সাহার নাম ধরে ডাকতে দেখা যায় মমতাকে। এরপর তাঁর উদ্দেশ্যে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কৃষ্ণনগরে ঝগড়া করলে চলবে না। সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে৷ কে কার বিরুদ্ধে তা শুনবো না৷ মাঝে গন্ডগোল হয়েছিল, কেন হয়েছিল? যা ইউটিউবে, ইন্টারনেটে ঘুরছিল৷আমি জানি কে বা কারা এর পিছনে আছে? সিআইডি, এডিজি-কে দিয়ে ক্রস চেক করিয়েছি৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনে দিনে সাংসদ মহুয়ার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে নেতা মন্ত্রীদের। তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস সহ একাধিক নদীয়া জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির মুখের ঠান্ডা লড়াই চলে আসছে। যার প্রভাব পড়ছে কৃষ্ণনগর সহ নদীয়ায় তৃণমূলের সংগঠনের উপরেও। কিন্তু প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন এসব তিনি আর বরদাস্ত করবেন না। পুরভোটের মুখে মমতার বার্তা দলের জন্য বিশেষ ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Share this article
click me!