Farmers of WB: নিম্নচাপের ভ্রকূটি কেটে সূর্যের দেখা মিলতেই জমা জলে ফসলের পচন শুরু, মাথায় হাত কৃষকদের

জাওয়াদ বিপর্যয়ের পর গতকাল থেকেই পশ্চিম আকাশে দেখা মিলল সূর্যের। চারিদিকে ঝলমলে আকাশ দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সাধারণ মানুষ। কিন্তু মাথায় হাত সুন্দরবনের প্রান্তিক চাষীদের।

Jaydeep Das | Published : Dec 9, 2021 10:35 AM IST

জাওয়াদ বিদায় নিলেও এখও মুখ ভার বাংলার আকাশের। এদিকে নিম্নচাপের জেরে একটানা তিনদিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বাংলার চাষাবাদের(Bengal farming)। এবার যদি ফের বৃষ্টি শুরু হয় তবে আর রক্ষা নেই। এদিকে জাওয়াদ(cyclone Jawad) বিপর্যয়ের পর গতকাল থেকেই পশ্চিম আকাশে দেখা মিলল সূর্যের। চারিদিকে ঝলমলে আকাশ দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সাধারণ মানুষ। কিন্তু মাথায় হাত সুন্দরবনের প্রান্তিক চাষীদের(Marginal farmer of Sundarbans)। বসিরহাট মহাকুমার(Basirhat subdivision) সন্দেশখালি হিঙ্গলগঞ্জ স্বরূপনগর বাদুড়িয়া সহ বিভিন্ন ব্লক এর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শীতকালীন রবি শস্য ধান বুনেছিল কৃষকরা(Farmers)। কিন্তু জাওয়াদ বিপর্যয় শুরুর আগে শেষ মুহূর্তে জমির থেকে সব ফসল কেটে ঘরে মজুত করতে পারিনি। আর তাতেই ঘটে গিয়েছে বড়সড় বিপত্তি।

মাঠেই পচতে শুরু করেছে পাকা ধান। ধান গাছের গোড়ায় জল জমে শুরু হয়েছে পচন। অন্যদিকে শীতকালীন সবজি নতুন আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, বেগুন, পটল, ঝিঙে সহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সমস্ত ফসলেরই গাছের গোড়ায় হাঁটু অবধি জল জমে গিয়েছে। আর তাতেই সূর্যের আলো পড়তেই দেখা দিয়েছে পচন। সময় যত যাবে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে বলেই মনে করছেন কৃষকরা। এদিকে একটা বড় অংশের কৃষকই রাজ্যে মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে ধান-আলু বা অন্যান্য কাটা ফসলের চাষ করে থাকে। কিন্তু এই ভাবে মাঠের পর মাঠ জমির ফসল পচতে শুরু করলে তারা তাদের ঋণ মেটাবেন কিকরে সেকথা ভেবেই কূল-কিনারা পাচ্ছেন না কেউই। একদিকে কীটনাশকের আকাশ ছোঁয়া দাম বেশি অন্যদিকে পেট্রোল-ডিজেলে দাম বৃদ্ধি পণ্য পরিবহন, সেচের খরচও অনেক অনেক বেড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন-প্রবল বর্ষণে ডুবে অর্ধেক জমি, খুচরো বাজারে হু হু করে বাড়ছে আলুর দাম

কিন্তু শীতকালের এই অকাল বর্ষণ সব ওলট-পালট করে দিয়েছে রাজ্যের চাষিদের। যার ফলে চাষিরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেই অন্যদিকে সমস্ক শাক-সবজি দাম যে অচিরেই অগ্নিমূল্য হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কৃষকদের দাবি জমিতে দেওয়ার জন্য যে সার আগে ১৫ থেকে ২০ টাকা কিলো দরে পাওয়া যেত, সেই সার এখন ৩৫ থেকে ৪0 টাকা কিলো দরে কিনতে হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষি জমিতে ফসল বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন হয় সেচেরও। সেই জল ১ঘন্টা পেতে খরচ হত ৭৫, টাকা, সেই সেচের মূল্য বৃদ্ধি হয়ে বর্তমানে প্রায় ১৫০ টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে ১০ গ্রাম ফুলকপি বীজের দাম ছিল ২৫০ টাকা, তারই বর্তমান দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১০ টাকা। এক বিঘা ফুলকপি চাষ করতে বর্তমানে একজন কৃষকের খরচ হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা, কিন্তু তারপরেও অনেক ক্ষেত্রে দানার গুণগত মান এতটাই বাজে  থাকছে যে গাছের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আর তাতেই আরও চিন্তা বেড়েছে চাষিদের।

Share this article
click me!