হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিয়ে বচসা, পরিযায়ী শ্রমিকের মারে মৃত্যু প্রতিবাদীর

  • হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিয়ে বচসা
  • পরিযায়ী শ্রমিকের মারে মৃত্যু প্রতিবাদীর
  • অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
  • মুম্বই-এ কাজ করত সে
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 2, 2020 9:55 AM IST

সঞ্জীব কুমার দূবে, পূর্ব মেদিনীপুর: সরকারের গাফিলতির কারণেই কি ঘটল বিপত্তি ? হোম কোয়ারেন্টাইন থাকা নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে বচসার জেরে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার এলাকায়। 

আরও পড়ুন:করোনার আতঙ্ক কাড়ল প্রাণ, গ্রামে ঢুকতে না পেরে বেঘোরে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের

অভিযুক্তের নাম তন্ময় বেরা। বাড়ি, নন্দকুমার থানা এলাকার ডিহিগুমাই গ্রামে। তিনি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ করতেন মুম্বই-এ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিন দিনেক আগে বাড়ি ফেরেন তন্ময়। করোনা মোকাবিলায় বাইরে থেকে কেউ এলে, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু সেই নিয়ম আর মানছে কে! বাড়িতে থাকা তো দূর, ওই পরিযায়ী শ্রমিক এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।

মৃতের নাম অশোক বেরা। স্থানীয় খঞ্জি বাজার এলাকায় একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করতেন তিনি। রবিবার রাতে দোকান থেকে ফেরার পথে তন্ময়ের বাড়িতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কয়েকজন মহিলা। তাঁরা যখন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলেন, তখন আর মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি ওই পরিযায়ী শ্রমিক। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। এরইমাঝে অশোকের মাথায় তন্ময় বাঁশ দিয়ে সজোর আঘাত করেন বলে অভিযোগ।  আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নন্দকুমার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।  সেখানে থেকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তমলুক হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার রাতে মারা যান অশোক বেরা। নন্দকুমার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। অভিযুক্ত তন্ময় বেরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন: শীঘ্রই খুলছে বেলুড় মঠ, দর্শনার্থীদের জন্য় কড়া নিরাপত্তা

উল্লেখ্য, ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফেরার পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পূর্ব মেদিনীপুরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সরকারি ব্যবস্থায় যদি তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হত, তাহলে এমন মর্মান্তির ঘটনা ঘটত না। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

Share this article
click me!